আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২২
গাজীপুরের শ্রীপুরে দাবি করা চাঁদা না পেয়ে নির্মানাধীন বাড়ি ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। সাবেক ইউপি সদস্য জজ মিয়ার নেতৃত্বে এক দলের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠেছে। বুধবার রাতে মাওনা ইউনিয়নের মাওনা উত্তরপাড়া এলাকায় এ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তির বাড়ির চারটি আধা পাকা নির্মানাধীন ঘর হামলা চালিয়ে দেয়াল ফেলা ভেঙে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার অন্তত এগার জনের নাম উল্লেখ করে চাঁদা দাবির অভিযোগ এনে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেছে ক্ষতিগ্রস্ত ওই ব্যক্তি। পুলিশ বলছে, অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্তরা হলেন- জজ মিয়া (৪৫), শফিক মিয়া (৪৫), মজিবুর রহমান (৪২), ইমরান (২৪), জামিল হোসেন (২৬), রাজন মিয়া (২৫), রাকিব(২৪), মহিবুল (৩০), মাসুদ রানা (৪০), মামুন (২০) ও সাজ্জাদ (৩০)। স্থানীয়রা জানান, আবদুল কাদের সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। এখন অবসরপ্রাপ্ত তিনি। পরে তিনি ৫৫ শতাংশ জমি কেনেন। তারা আরও জানান, অন্তত চল্লিশ বছর আগে ক্রয়সূত্রে জমির মালিক হন শ্রীপুর পৌরশহরের বাগমারা গ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল কাদের। সম্প্রতি তিনি ওই জমিতে আধা পাকা (বিল্ডিং) চারটি ঘর নির্মান করতে গেলে স্থানীয় জজ মিয়া বাধা দেন। এ নিয়ে বেশ কবার সালিস বৈঠক হয়েছে। এ ঘটনার জেরে রাতে একদল দুর্বৃত্ত হামলা চালিয়ে চারটি পাকা রুমের দেয়াল ভেঙে ফেলেছে। স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজ এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসি। ক্ষতিগ্রস্ত আবদুল কাদের (জমি ও বাড়ির মালিক) জানান, স্থানীয় জজ মিয়া ( সাবেক ইউপি সদস্য) রাস্তার দাবি জানিয়ে আসছিল। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সালিশে বসে সিদ্ধান্ত মত ৯ ফুটের রাস্তার জায়গা ছেড়ে বাড়ি নির্মান কাজ শুরু করি। কিন্তু কদিন পরেই রাস্তার দাবি থেকে সরে এসে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় দলবল নিয়ে বুধবার মধ্য রাতে নির্মানচলা চারটি বিল্ডিং রুমের দেয়াল ভেঙে ফেলে। এ সময় আমার আত্মীয় স্বজন এগিয়ে আসলে তাদের ওপর হামলা চালিয়ে আহত করে। রাতেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার চাঁদা চাওয়ার কারনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। আবদুল কাদেরে ছেলে কামরুল হাসান বুলবুল জানান, আমাদের চল্লিশ বছর আগের জমিতে বাড়ি নির্মানের সময় এ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করা হয়েছে। তিনি বলেন ওখানে আমাদের আগেও দশটি রুম ভাড়ায় আছে। তার সাথে নতুন চারটি ভাড়ার রুমের কাজ শুরু করলে চাঁদার দাবি করে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জজ মিয়া বলেন, কোনো চাঁদা দাবি করা হয়নি। মানুষের চলাচলের জন্য রাস্তার জন্য জমি রেখে তাদের বাড়ি করতে বলা হয়েছে। শ্রীপুর মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১