আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪
চলতি বছরের ১০ মার্চ থেকে লসএঞ্জেলসের হলিউডের ডলবি থিয়েটারে শুরু হচ্ছে ২০২৪ সালের অস্কার আসর। এদিন থেকে ঘোষণা করা হবে ২০২৩ সালের সেরা চলচ্চিত্রস বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা পুরস্কার জয়ীদের নাম। ১৯২৯ সাল থেকে শুরু হওয়া অস্কারের এবার বসছে ৯৬তম আসর। পুরো আসরের উপস্থাপনায় থাকবেন জিমি কিমেল। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় ১৭৫ মিনিটের চলচ্চিত্র দ্য গডফাদার। পরের বছর অর্থাৎ ১৯৭৩ সালে এটি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করে। প্যারামাউন্ট পিকচার্সের সাথে মিলে এ চলচ্চিত্রটির পরিচালনা করেছেন ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন মারিও পুজো এবং ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। চলচ্চিত্রটির আরো দু’টি সিকুয়েল রয়েছে। দ্য গডফাদার পার্ট টু (১৯৭৪) এবং দ্য গডফাদার পার্ট থ্রি (১৯৯০)। প্রায় ১৯৫ মিনিটের এ চলচ্চিত্রটি বায়োগ্রাফি, ড্রামা ও হিস্টোরি ঘরানার। ১৯৯৩ সালে এটি মুক্তি পায়। সিনেমাটির পরিচালক স্টিভেন স্পিলবার্গ। প্রযোজক সংস্থা ইউনিভার্সাল পিকচার্স। অভিনয় করেছেন লিয়াম নিসন, রালফ ফিয়েনেস-সহ আরো অনেকে। ১৯৮২ সালে প্রকাশিত অস্ট্রেলিয়ান ঔপন্যাসিক থমাস কেনিয়ালি রচিত ‘শিন্ডলার্স আর্ক’ এর ওপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে। এই চলচ্চিত্রে দেখানো হয়, অস্কার শিন্ডলার একজন লোভী জার্মান ব্যবসায়ী যিনি অনেকটা অনাকাঙ্ক্ষিতভাবেই জার্মান নাৎসিদের ইহুদিদের উপর চালানো হত্যাকাণ্ডের চিত্র দেখে মানবিক হয়ে উঠেন। ১৯৯৪ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট সাতটি ক্যাটাগরিতে অস্কার পায় চলচ্চিত্রটি। প্রায় ২০১ মিনিট দীর্ঘ চলচ্চিত্রটি অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং ড্রামা ঘরানার। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন পিটার জ্যাকসন। ইংরেজ লেখক জন রোনাল্ড রিউয়েল টলকিয়েন- এর লেখা লর্ড অব দ্য রিংস বইয়ের তৃতীয় খণ্ডের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। এটি মূলত হাই ফ্যান্টাসি অ্যাডভেঞ্চার ফিল্ম অর্থাৎ পুরোপুরি কাল্পনিক চরিত্র ও গল্পের সমন্বয়ে নির্মিত। এই সিনেমাতে যে জগত কল্পনা করা হয় তার থেকে বাস্তবিক জগত সম্পূর্ণ আলাদা। মূল গল্পে দেখা যায়, কল্পিত মিডল আর্থ বা পৃথিবীর মধ্যভাগের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে শুভ এবং অশুভ শক্তির মধ্যে চূড়ান্ত যুদ্ধ শুরু হয়। এর মধ্যে ফ্রোডো এবং স্যাম নামে দুটি চরিত্র একটি রিং(আংটি) ধ্বংস করার জন্য মর্ডরে পৌঁছায়। এই আংটি বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন এবং একই সাথে এটি একে ধারণকারীকেও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। এদিকে, শুভ শক্তির নেতৃত্বে থাকা অ্যারাগর্ন তার সামরিক বাহিনী নিয়ে অশুভ শক্তির নেতৃত্বে থাকা সউরনের বাহিনীর মোকাবেলা করতে মিনাস টিরিথ নামে শহরে হাজির হয়। ২০০৪ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ ১১টি ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতে চলচ্চিত্রটি। ৪. দ্য গডফাদার পার্ট টু এটি মূলত ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া রেকর্ড ব্রেকিং সিনেমা ‘দ্য গডফাদার’ এর সিক্যুয়াল। চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায় ১৯৭৪ সালে। ২০২ মিনিটের চলচ্চিত্রটি ক্রাইম ড্রামা ঘরানার। আইএমডিবি-তে এর রেটিং ৯। গল্পে দেখা যায়, দ্য গডফাদার এর মূল চরিত্র ভিটো কর্লিয়নিকে ১৯২০ এর দশকে তরুণ বয়সে তুলে ধরা হয়। নিউইয়র্ক সিটি এবং সিসিলিতে তার বেড়ে উঠার সময় চিত্রিত হয়। একইসাথে তার ক্যারিয়ার শুরু এবং তা এগিয়ে নেয়া থাকে গল্পের বুননে। তার ছেলে মাইকেল কিভাবে পরিবারভিত্তিক সিন্ডিকেটে তার নিজের পরিবারের অবস্থান ও প্রভাবকে আরো মজবুত করে এবং বিস্তার ঘটায়। ১৯৫০ এর দশকে মাইকেল র্লিয়নি তার পারিবারিক ব্যবসা লাস ভেগাস, হলিউড এবং কিউবায় সম্প্রসারিত করেন। আগের চলচ্চিত্রটির মতোই এটিও নির্মাণ করেছেন পরিচালক ফ্রান্সিস ফোর্ড কপোলা। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন আল পাসিনো, রবার্ট ডি নিরো, রবার্ট ডুভাল এবং ডিয়ান কিটন। আইএমডিবি-এর তথ্য অনুযায়ী, চলচ্চিত্রটির মোট আয় ৫৭.৩০ মিলিয়ন ডলার। ১৯৭৫ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ ছয়টি ক্যাটাগরিতে অস্কার জেতে চলচ্চিত্রটি। ৫. ফরেস্ট গাম্প ১৯৯৪ সালে মুক্তি পাওয়া ফরেস্ট গাম্প চলচ্চিত্রটি ড্রামা এবং রোমান্স ঘরানার। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন রবার্ট জেমেকিস। এতে অভিনয় করেছেন টম হ্যাঙ্কস, রবিন রাইট, গ্যারি সিনিস, স্যালি ফিলডসহ অনেকে। আইএমডিবি-তে এই সিনেমাটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৮.৮। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রটি আয় করেছে ৩৩০.২৫ মিলিয়ন ডলার। এর গল্পে দেখা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালাবামার একজন ব্যক্তি ফরেস্ট গাম্প যার আইকিউ কম। তার একমাত্র বন্ধু জেনি। ফরেস্ট গাম্প সামরিক বাহিনীতে যোগ দেন, ভিয়েতনাম যুদ্ধে যান, সেখানে তার নতুন দুই বন্ধ ড্যান এবং বুবার সাথে দেখা হয়, বেশ কয়েকটি পদক জেতেন, বিখ্যাত চিংড়ির ব্যবসা গড়ে তোলেন, পিং-পং ক্রেজ তৈরি করেন, বেশ কয়েকবার প্রেসিডেন্টের সাথেও সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু এতোসব কিছু ছাপিয়ে তিনি ভাবতে থাকেন তার শৈশবের প্রেমিকা জেনির কথা। তিনি বোঝাতে চান, যে কেউ, যে কাউকে ভালবাসতে পারে। সিনেমাটিতে মূলত ফরেস্ট গাম্পের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ১৯৫০ এর দশক থেকে শুরু করে ৭০ এর দশক পর্যন্ত মার্কিন ইতিহাসের চিত্র দেখানো হয়েছে। ১৯৯৫ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ ছয়টি ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরস্কার পায় চলচ্চিত্রটি। ৬. ওয়ান ফ্লিউ ওভার দ্য কুক্কু’স নেস্ট ১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটি ড্রামা ঘরানার। পরিচালনা করেছেন মাইলোস ফোরম্যান। এতে অভিনয় করেছেন জ্যাক নিকোলসন, লুইস ফ্লেচার, মাইকেল বেরিম্যান, পিটার বরোক্কোসহ অনেকে। আইএমডিবি-তে এই চলচ্চিত্রটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৮.৭। চলচ্চিত্রটি মোট আয় করেছে ১১২ মিলিয়ন ডলার। সিনেমার গল্পটি শুরু হয় ম্যাকমারফি নামে একজন অপরাধীর মাধ্যমে। তিনিই এই সিনেমার মূল চরিত্র। অপরাধের দায়ে কারাদণ্ড পাওয়ার পর জেলে কাজ করা এড়াতে তিনি পাগল হওয়ার অভিনয় করেন। পরে তাকে একটি মানসিকভাবে অস্থিতিশীলদের জন্য তৈরি করা একটি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। সেখানকার নার্সদের ক্ষমতার অপব্যবহার এবং নির্যাতনের চিত্র দেখেন তিনি। পরে নার্সদের এই নির্যাতনমূলক আচরণের বিরুদ্ধে একটি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন তিনি। ১৯৭৬ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অস্কার পায় চলচ্চিত্রটি। ৭. দ্য সাইলেন্স অব দ্য ল্যাম্বস ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া চলচ্চিত্রটি ক্রাইম ড্রামা ও থ্রিলার ঘরানার। এটি পরিচালনা করেছেন জোনাথন ডিমি। আইএমডিবি-তে এই চলচ্চিত্রের রেটিং ১০ এর মধ্যে ৮.৬। চলচ্চিত্রটি মোট আয় করেছে ১৩০.৭৪ মিলিয়ন ডলার। এর মূল গল্পে দেখা যায়, ক্লারিস স্টারলিং নামে তরুণ একজন এফবিআই এজেন্টের গল্প নিয়ে আবর্তিত হয় পুরো সিনেমাটি। পাগলাটে এক সিরিয়াল কিলার যে তার শিকারদের হত্যা করার পর গায়ের চামড়া তুলে ফেলে- তাকে ধরার চেষ্টা করে ওই এফবিআই অ্যাজেন্ট। তবে তাকে ধরতে হলে গ্রেফতারকৃত আরেক নরখাদক সিরিয়াল কিলারের সহায়তা দরকার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এগিয়ে চলে গল্প। চলচ্চিত্রটি মোট ১১৮ মিনিটের। ১৯৯২ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অস্কার পুরস্কার জিতে নেয় চলচ্চিত্রটি। এতে অভিনয় করেছেন জোডি ফস্টার, অ্যান্থনি হপকিন্স, স্কট গ্লেনম টেড লেভিনসহ অনেকে। ৮. প্যারাসাইট ২০১৯ সালে মুক্তি পাওয়া কোরিয়ান ড্রামা থ্রিলার মুভি প্যারাসাইট। ইংরেজির বাইরে ভিন্ন ভাষার সিনেমা হিসাবে এটি প্রথমবারের মতো অস্কারের সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয়। সেরা চলচ্চিত্র ছাড়াও আরো তিনটি ক্যাটাগরিতে সে বছর অস্কারে জেতে এই সিনেমাটি। এটি পরিচালনা করেছেন বং জু হ। আইএমডিবি-তে এই সিনেমাটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৮.৫। ১৩২ মিনিটের সিনেমাটি মুক্তির পর ৫৩.৩৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এতে দেখানো হয়, সিউলে একটি হাফ-বেজমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে থাকে কিম পরিবারের চার সদস্য- বাবা-মা আর তরুণ দুই ভাই-বোন। দরিদ্র এই পরিবারের তরুণ কি উ তার এক বন্ধুর মাধ্যমে ধনবান পার্ক পরিবারে শিশুদের টিউশনের কাজ পায়। পার্ক পরিবার বাস করে আলিশান এক বাড়িতে। পরে সে তার বোনকে একই পরিবারে আর্ট-ইন্সট্রাক্টর হিসেবে কাজ দেয়। কিন্তু পার্ক পরিবারের কেউই জানে না যে তারা ভাই-বোন এবং একই পরিবারের সদস্য। এভাবে নিজেদের বাবা-মাকে পার্ক পরিবারের ওই আলিশান বাড়িতে নিয়ে আসতে বাড়ির কাজের লোকদের বিভিন্ন দোষ ধরে তাদের চাকরিচ্যুত করার চেষ্টা করে। এ নিয়েই এগিয়ে যায় গল্প। সিনেমাটিতে মূলত লোভ এবং শ্রেণি বৈষম্যের দ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ৯. গ্ল্যাডিয়েটর ২০০০ সালে মুক্তি পাওয়া তুমুল জনপ্রিয় সিনেমা গ্ল্যাডিয়েটর অ্যাকশন, অ্যাডভেঞ্চার এবং ড্রামা ঘরানার। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন রিডলি স্কট। অভিনয় করেছেন রাসেল ক্রো, জোয়াকুইন ফোনিক্স, কনি নিয়েলসন ও অলিভার রিডসহ অনেকে। আইএমডিবি-তে এই সিনেমাটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৮.৫। ১৫৫ মিনিটের চলচ্চিত্রটি মুক্তির পর আয় করেছে ১৮৭.৭১ মিলিয়ন ডলার। ২০০১ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জয় করে নেয় সিনেমাটি। সিনেমাটিতে সাবেক একজন রোমান জেনারেলের প্রতিশোধ স্পৃহার গল্প নিয়ে এগিয়ে যায়। এতে দেখানো হয়, ম্যাক্সিমাস একজন ক্ষমতাশালী রোমান জেনারেল যাকে তার সম্রাট মার্কাস অরেলিয়াস প্রচণ্ড পছন্দ করেন। তিনি তার মৃত্যুর আগে তার উত্তরসূরি হিসেবে ছেলে কমোডাসের পরিবর্তে ম্যাক্সিমাসকে নির্বাচন করেন। এ নিয়ে ক্ষমতার দ্বন্দ্বে হত্যা করা হয় ম্যাক্সিমাসের পুরো পরিবারকে। বন্দী করা হয় তাকে এবং গ্ল্যাডিয়েটর হিসেবে একটি খেলায় অংশগ্রহণ করতে বলা হয়। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত যে খেলা চলতে থাকার রীতি থাকে। এমন পরিস্থিতি থেকে কিভাবে তিনি সম্রাটের মোকাবেলা করেন সেই গল্প রয়েছে এই সিনেমায়। ১০. দ্য ডিপার্টেড ২০০৬ সালে মুক্তি পাওয়া দ্য ডিপার্টেড সিনেমাটি ক্রাইম, ড্রামা ও থ্রিলার ঘরানার। এটি পরিচালনা করেছেন মার্টিন স্করসেজি। ১৫১ মিনিটের এ সিনেমাটির আইএমডিবি রেটিং ৮.৫। এতে অভিনয় করেছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও, ম্যাট ড্যামন, জ্যাক নিকলসন, মার্ক ওয়ালবার্গসহ আরো অনেকে। মুক্তির পর থেকে এটি ১৩২.৩৮ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। সিনেমাটির গল্প আগায় একজন চোরাগোপ্তা পুলিশ এবং পুলিশের মধ্যে থাকা একজন গুপ্তচরকে নিয়ে, যারা পরস্পরকে খুঁজে বের করার চেষ্টায় নিয়োজিত থাকে। এই চেষ্টার মধ্যেই তারা সাউথ বোস্টনে একটি আইরিশ গ্যাংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ে। ২০০৭ সালে সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট চারটি ক্যাটাগরিতে অস্কার জয় করে নেয় সিনেমাটি।
এই পুরস্কার ঘোষণার আগে বিবিসি বাংলা অস্কারের বিভিন্ন আসরের সেরা ১০টি চলচ্চিত্র সম্পর্কে জানার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে যেগুলো সম্পর্কে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন সিরিজসহ বিভিন্ন কন্টেন্ট সম্পর্কিত অনলাইন ডেটাবেজ আইএমডিবিতেও ভালো রেটিং রয়েছে।
১. দ্য গডফাদার
এটি মূলত ক্রাইম ড্রামা ধারার সিনেমা। আইএমডিবি-তে এই চলচ্চিত্রটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৯.২। এই সিনেমাতে অভিনয় করে প্রশংসিত হন মার্লোন ব্র্যান্ডো এবং এল পাসিনো। মূল চরিত্রে আরো ছিলেন জেমস কান এবং ডিয়ান কিটন।
মূলত মার্কিন লেখক মারিও পুজোর ‘দ্য গডফাদার’ নামে উপন্যাসের আলোকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছিল। মুক্তি পাওয়ার বছরে এটি ছিল সর্বোচ্চ ব্যবসা সফল সিনেমা। আইএমডিবি এর তথ্য অনুযায়ী, চলচ্চিত্রটি ১৩৪.৯৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে।
৪৫তম অস্কারে একাধারে সেরা চলচ্চিত্র, সেরা অভিনেতা এবং বেস্ট অ্যাডাপ্টেড স্ক্রিনপ্লে- ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছিল সিনেমাটি। নমিনেশন পেয়েছিল আরো সাতটি পুরস্কারের জন্য। যার মধ্যে রয়েছে সেরা পরিচালক এবং সেরা পার্শ্ব অভিনেতা।
শুধু অস্কারই নয়, দ্য গডফাদারকে মনে করা হয় এ পর্যন্ত নির্মিত সবচেয়ে প্রভাবশালী চলচ্চিত্র হিসেবে। গ্যাংস্টার জনরায় একটি ল্যান্ডমার্ক হিসেবে বিবেচিত হয় দ্য গডফাদার।
সিনেমার গল্পে দেখা যায়, ১৯৪৫ এর দশকে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে করলিয়নি মাফিয়া পরিবারের প্রধান হচ্ছেন ‘ডন’ ভিটো করলিয়নি। তিনিই গডফাদার। তার মেয়ের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চলছে। সেখানে উপস্থিত তার সবচেয়ে ছোট ছেলে মাইকেল যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশ নেয়া একজন মেরিন। তিনি তার বাবার ব্যবসার বিষয়ে আগ্রহী নন।
ভিটো একজন ক্ষমতাবান ব্যক্তি যিনি তার প্রতি আনুগত্যকারীদের সাথে বন্ধুসুলভ হলেও বিরোধিতাকারীদের প্রতি নিষ্ঠুর। কিন্তু যখন ক্ষমতাশালী প্রতিদ্বন্দ্বী একটি পক্ষ মাদক বিক্রিতে তার সহায়তা চায় তিনি তা নাকচ করে দেন। এর ফলে ভিটোর অনুসরণকৃত পুরনো রীতি এবং নতুন নিয়মকানুনের মধ্যে দ্বন্দ্বের সূত্রপাত ঘটায়। দুই পক্ষের মধ্যেও দ্বন্দ্ব শুরু হয়।
এর জের ধরে ভিটোর ছোট ছেলে ও সাবেক মেরিন অনিচ্ছা স্বত্বেও বাবার ব্যবসাতে জড়িয়ে পড়েন। শুরু হয় মাফিয়া পরিবারগুলোর মধ্যে সঙ্ঘাত। দেখা দেয়, করলিয়নি পরিবারের ধসে পড়ার শঙ্কা।
২. শিন্ডলার্স লিস্ট
আইএমডিবি এ চলচ্চিত্রটির রেটিং ১০ এর মধ্যে ৯। আর সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রটি আয় করেছে ৯৬.৯০ মিলিয়ন ডলার।
অস্কার শিন্ডলার নামে জার্মান একজন শিল্পপতির জীবনীর ওপর ভিত্তি করে রচিত হয়েছে এই চলচ্চিত্রটি, যার চিত্রনাট্য লিখেছেন স্টিভেন জাইলিয়ান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পোল্যান্ডের ক্রাকোতে নিজের স্থাপিত একটি কারখানায় কাজ করার জন্য নিয়োগের মাধ্যমে তিনি ইহুদিদের জীবন রক্ষা করেন। এর বিনিময়ে জার্মান নাৎসি বাহিনীকে মোটা অঙ্কের ঘুষ দিতে হয় তাকে। এভাবে তার কারখানাটি মূলত ইহুদিদের জন্য একটি আশ্রয়স্থল হয়ে উঠে।
এই প্রক্রিয়ায় তিনি প্রায় ১১০০ ইহুদিকে হলোকাস্ট থেকে রক্ষা করেন। সব মানুষের মধ্যেই ভালো গুণ রয়েছে- এই বার্তাটিই এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
৩. লর্ড অব দ্য রিংস: দ্য রিটার্ন অব দ্য কিং
২০০৩ সালে মুক্তি পাওয়া এ সিনেমাটির আইএমডিবি-তে রেটিং ১০ এর মধ্যে ৯। চলচ্চিত্রটি সব মিলিয়ে আয় করেছে ৩৭৭.৮৫ মিলিয়ন ডলার।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১