আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৪
ঈদের পরে বেড়েছে মুরগির দাম। গত সপ্তাহের তুলনায় সোনালি মুরগির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০ টাকার বেশি। তবে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংসের দামও অপরিবর্তিতই রয়েছে। আজ (শুক্রবার) রাজধানীর খিলগাঁও বাজারে ঘুরে দেখা দেখা যায়, সোনালি মুরগি ৩৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা ঈদের সময় বিক্রি হয়েছিল ৩৬০ টাকা দরে। আর ব্রয়লার মুরগি ২০০ থেকে ২১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের দাবি, ঈদের সময় এবং পরে এটি ২৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সেই হিসেবে দাম কমেছে। কিন্তু ক্রেতারা বলছেন ব্রয়লার মুরগির দাম কমেনি। আগেও ব্রয়লার মুরগি ছোটটা বিক্রি হতো ২০০-২১০ টাকা কেজি দরে। আর বড়টি ২১০-২২০ টাকায় বিক্রি হতো। এখনও সেই দামে বিক্রি হচ্ছে। আর সোনালি মুরগি আগে ৩৫০-৩৬০ টাকায় বিক্রি হতো। এখন সেটির দাম বেড়ে ৩৯০ টাকা হয়ে গেছে। আর আসল দেশি মুরগি খুব একটা পাওয়া যায় না। পাওয়া গেলে সেটির দাম ৭০০ থেকে ৮০০ টাকায় কেজি বিক্রি হয়। মুরগি ব্যবসায়ী শিহাব বলেন, ঈদের সময় ব্রয়লার মুরগি বিক্রি করেছি ৩৫০ টাকায় কেজিতে। এটির দাম কমে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। আর সোনালী মুরগি পিস বিক্রি করেছি ৩৬০ টাকায়। এখন এটির দাম বেড়ে ৩৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পাইকারি পর্যায়ে দাম বেড়ে যাওয়ায় খুচরা পর্যায়ও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও দাবি এই ব্যবসায়ীর। খিলগাঁও বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গুরুর মাংস ৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর একটু হাড় বেশি নিলে সেটির দাম রাখা হচ্ছে ৭৮০ টাকা। এছাড়া গরুর অন্যান্য অংশ বিভিন্ন দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। আর খাসির মাংসের কেজি ১১০০ থেকে ১২০০ টাকা। তিনি বলেন, মাছ-মাংস কিনে খাওয়া এখন অনেকটা বিলাসিতা হয়ে গেছে। কিন্তু ঘরে ছোট ছেলে-মেয়েদের জন্য অনেকটা বাধ্য হয়ে কিনতে হয়। রফিকুল ইসলামের দাবি, আসলে বাজারে নৈরাজ্য চলছে। এটি দেখার কেউ নেই। ব্যবসায়ীরা যখন যেভাবে খুশি দাম বাড়ায়। তাদের কাছে ক্রেতারা জিম্মি।
খিলগাঁও কাঁচাবাজারে বাজার করতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, সবজির দাম গত সপ্তাহের মতো আছে। এর মানে এই নয় যে দাম কম। তবে সব ধরনের মুরগির দাম বেড়েছে।
Plot-314/A, Road # 18, Block # E, Bashundhara R/A, Dhaka-1229, Bangladesh.
বার্তাবিভাগঃ newsbnel@gmail.com
অনলাইন বার্তাবিভাগঃ bk.online.bnel@gmail.com
ফোনঃ ৫৭১৬৪৬৮১