বাংলার প্রতিটি নারীই সাহসের বাতিঘর বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে গতকাল শনিবার প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ১০৭তম জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দৈনিক ভোরের কাগজ ও প্রীতিলতা ট্রাস্ট ‘বিদ্রোহে বিপ্লবে এ মাটির অগ্নিকন্যা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে।
‘বোনেরা নিজেদের দুর্বল ভাববেন না’- বিপ্লবী অগ্নিকন্যা প্রীতিলতার লেখা শেষ চিঠির উদ্ধৃতি দিয়ে শিরীন শারমিন বলেন, প্রত্যেক নারীই তার নিজের অধিকার নিজেই প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম।
স্পিকার বলেন, পরাধীনতার নাগপাশ থেকে মুক্ত হতে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে প্রীতিলতা যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন, তা যুগ যুগ ধরে সব নারী তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের কথা উল্লেখ করে স্পিকার বলেন, ’৭৫-পরবর্তী সময়ের পর স্বাধীনতার চেতনায় দেশকে ফিরিয়ে আনার সংগ্রামে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। সুতরাং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনেও নারীর পরিচয় দেখতে পাওয়া যায়।
সভায় বক্তারা ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আত্মোৎসর্গকারী প্রথম নারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের দাবি জানান।
ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্তের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি আয়শা খানম, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম, বাংলাদেশ ব্যাংক পরিচালনা পর্ষদের সাবেক পরিচালক হান্নানা বেগম, মুক্তিযোদ্ধা ও নারী প্রগতি সংঘের নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া কবীর, নাট্যব্যক্তিত্ব শম্পা রেজা ও প্রীতিলতা ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদক পংকজ চক্রবর্তী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন নিজেরা করির নির্বাহী পরিচালক খুশী কবির।
