বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ও দলের মুখপাত্র অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে শক্তিমান চাকমাসহ ছয়জন নিহতের ঘটনায় সরকারই দায়ী। গতকাল নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
রিজভী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পার্বত্য চট্টগ্রামে আঞ্চলিক দলগুলোর মধ্যে সশস্ত্র তৎপরতায় শক্তিমান চাকমাসহ ছয়জন নিহত এবং বেশ কিছুসংখ্যক গুলিবিদ্ধ হয়েছে। শুধু তাই নয়, নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল হককে দিনেদুপুরে গুলি করে হত্যা করা আওয়ামী দুঃশাসনের এক ভয়ঙ্কর দৃষ্টান্ত।
রিজভী বলেন, দুই সিটিতে আওয়ামী লীগ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের হয়রানি শুরু করেছে। বাড়িতে পুলিশের হানার কারণে নেতাকর্মীদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে। নৌকার প্রার্থীকে জেতাতে পুলিশ হয়ে উঠেছে স্বেচ্ছাচারী ও বেপরোয়া। গাজীপুরে সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রধান বাধা পুলিশ সুপার (এসপি) হারুন অর রশীদ ও খুলনায় পুলিশ কমিশনার।
তিনি বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংগঠন সুজনের পক্ষ থেকেও দুই সিটিতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। গণমাধ্যমেও ভোট নিয়ে ভীতি ও শঙ্কার খবর প্রকাশিত হচ্ছে।
রিজভী বলেন, খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও এখনো তার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। বরং আওয়ামী লীগপ্রধান শেখ হাসিনাসহ দলীয় নেতাকর্মীরা ইয়ার্কি-ঠাট্টা করছেন। তাদের নিষ্ঠুর রসিকতায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতভম্ব।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মামুন আহমেদ, প্রকাশনা-বিষয়ক সম্পাদক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, সহ-দফতর সম্পাদক মুনির হোসেন, সহ-প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ।