• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

রাজনীতি

ক্লিন ইমেজের খোঁজে যুবলীগ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১১ মার্চ ২০২১

ঢাকা মহানগরে নেতা নির্বাচনে উচ্চ শিক্ষিতদের খোঁজ করছে আওয়ামী যুবলীগ। তবে অবশ্যই ক্লিন ইমেজের হতে হবে। বিতর্কমুক্ত কমিটি দিতে এমন চেষ্টা সংগঠনটির শীর্ষ নেতাদের।

যুবলীগের ঢাকা মহানগর শাখায় পদপ্রত্যাশীদের দাবি, নগর সম্মেলনে অনাগ্রহ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের। তবে সাধারণ সম্পাদক বলছেন, সাংগঠনিক নেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ পেলেই সম্মেলন হবে। দীর্ঘ চার বছরের বেশি সময় ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার আওয়ামী যুবলীগের কমিটি। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আটকের পর বহিষ্কার ও অব্যাহতি দেওয়া হয় প্রথম সারির অন্তত পাঁচ নেতাকে। তার পর থেকেই ভারপ্রাপ্ত দিয়েই চলছে মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগ। দক্ষিণ শাখা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত নেতারাও বিতর্কমুক্ত নন।

জানা যায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে আটক হওয়া মহানগর দক্ষিণ শাখার নেতাদের অনুসারীরা আবারো সক্রিয় হয়েছেন পদ-পদবি পেতে। অন্যদিকে দক্ষিণ শাখা যুবলীগে শীর্ষ দুই পদের একটি পেতে পুরনো সিন্ডিকেট নিয়ে সক্রিয় হয়ে উঠেছেন বিদেশফেরত এক নেতা। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা যুবলীগের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। তবে কমিটি গঠন বা সম্মেলন বিষয়ে অনেকটাই ধোঁয়াশায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা। মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগে স্থান পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন পদপ্রত্যাশীরাও।

২০১৩ সালের ২৯ জুলাই রাতে গুলশানে শপার্স ওয়ার্ল্ড নামে একটি বিপণিবিতানের সামনে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মিল্কিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। যুবলীগ দক্ষিণের যুগ্ম সম্পাদক জাহিদ সিদ্দিকী তারেক ‘ক্রসফায়ারে’ নিহত হন। পরে দক্ষিণ শাখার সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটসহ শীর্ষ নেতাদের বহিষ্কারের পর ভেঙে পড়ে সাংগঠনিক কাঠামো। দক্ষিণ শাখা যুবলীগের হাল ধরতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতারা এগিয়ে এলেও হালে পানি পাচ্ছেন না সম্মেলন না হওয়ায়। যুবলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান নিখিল ছিলেন উত্তর শাখার সভাপতি। তিনি কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর সহসভাপতি ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন। ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বর্তমান কমিটির নেতা ছাড়াও অর্ধশতাধিক সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শীর্ষ দুই পদে আসীন হতে দৌড়ঝাঁপ করছেন। সংগঠনের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও প্রেসিডিয়াম সদস্যদের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক নেতা বলেন, দক্ষিণ শাখা যুবলীগের সাংগঠনিক কাঠামো একেবারেই ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে। কমিটি কীভাবে হবে সে বিষয়ে কিছুই জানা যাচ্ছে না। সম্মেলনের আয়োজন করা হবে কি না তা এখনো জানা যায়নি। কেউ কেউ বলছেন প্রেস কমিটি হবে। কিন্তু কমিটি গঠনের জন্য কেন্দ্র থেকে পদপ্রত্যাশীদের কাছে জীবনবৃত্তান্ত চাওয়া হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে পুরনো সিন্ডিকেটের হাতেই মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের নেতৃত্ব চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

শীর্ষ পদপ্রত্যাশী এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, উত্তর যুবলীগের নেতৃত্ব নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদকের ভূমিকা থাকবে। সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বর্তমান কমিটি থেকেই নতুন নেতৃত্ব নির্ধারণের চেষ্টা করবেন। বর্তমান কমিটির নেতারাও কিন্তু বিতর্কমুক্ত নন। কেন্দ্রীয় চেয়ারম্যান এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন বলে আমরা আশা করছি। ঢাকা মহানগর যুবলীগের হারানো ইমেজ ফিরে পেতে কেন্দ্রীয় কমিটির মতোই নতুন করে সাজাতে হবে। সে ক্ষেত্রে নতুনদের সুযোগ দিতে হবে।

যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমরা নেত্রীর (শেখ হাসিনা) সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেব। নেত্রী যখন বলবেন তখনই আমরা মহানগর সম্মেলন করব। নেতৃত্বের সম্মতি ছাড়া সম্মেলন হবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads