• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা

সংগৃহীত ছবি

রাজনীতি

সম্মেলন চান কেন্দ্রীয় অনেক নেতা

ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৬ অক্টোবর ২০২১

ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বিভিন্ন কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হলেও দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন হচ্ছে না, যদিও দুই বছর পরপর সংগঠনটির সম্মেলন করার গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু ২৯তম সম্মেলনের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান কমিটি এরই মধ্যে ৩৮ মাস পার করেছে।  এ ছাড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটির মেয়াদও পেরিয়েছে ৩০ মাস। কিন্তু গঠনতন্ত্র অনুযায়ী হয়নি কেন্দ্রীয় সম্মেলন না হওয়ায় এ নিয়ে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটিসহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা বাড়ছে।

কোনো কোনো জেলা ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমেই চলছে কমিটির কার্যক্রম। জানা গেছে, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্ঠানের ওপর নির্ভর করছে নতুন নেতৃত্বের বিষয়টি। তবে সম্মেলনের করার দিকে ঝোঁক নেই সংগঠনটির সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের। তারা  কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের মাধ্যমে সংগঠন পরিচালনার দিকেই বেশি মনোযোগী, যদিও অনেক নেতা সম্মেলনের দাবি তুলেছেন হাইকমান্ডের কাছে। তারা বণ্টনের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণে অনিচ্ছুক।

তাদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতৃত্ব দায়িত্ব বণ্টনের নামে নিজেদের ক্ষমতাকে দীর্ঘ করার পাঁয়তারা করছেন। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন কমিটি হলে সাংগঠনিকভাবে নিষ্প্রাণ ছাত্রলীগকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারবেন তারা। আওয়ামী লীগের ভ্যানগার্ড হিসেবে পরিচিত ছাত্রলীগকে আগামী নির্বাচনের জন্য গুছিয়ে নিতে এখনই সম্মেলন দেওয়া দরকার।

তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দুই নেতা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক সম্মেলন না হওয়ার জন্য করোনা মহামারিকে দায়ি করেন বলেন, ‘এখন করোনা সংক্রমণ কমে আসায় আমরা আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম আবার পুরোদমে শুরুর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। অক্টোবরের শুরু থেকে বিভিন্ন বিভাগে সাংগঠনিক সফর শুরু করব। সেই লক্ষ্যে সাংগঠনিক দায়িত্ব বণ্টনের তালিকা প্রস্তুত করছি।’

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহান খান বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে থাকা ২৭০ জনের মতো নেতা ছাত্রলীগের সম্মেলন চাচ্ছেন। তারা কেউ বর্তমান সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কাজ করতে চান না। ১০-১২ জন নেতা আছেন যারা তাদের (জয়-লেখক) থেকে ‘অবৈধ’ সুবিধা নিচ্ছেন। তারা ছাড়া সবাই ছাত্রলীগের সম্মেলন চান। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বড় একটি অংশ সম্মেলনের দাবিতে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে। এদের মধ্যে রয়েছেন সংগঠনটির সহ-সভাপতি শওকতুজ্জামান সৈকত, সোহান খান, ইয়াজ আল রিয়াদ, মাজহারুল ইসলাম শামীম, সৈয়দ মো. আরিফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান আল ইমরান, সাংগঠনিক সম্পাদক সাবরিনা ইতি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রের দাবি, আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছ থেকে সবুজ সংকেত পেয়েই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সম্মেলনের দাবি তুলছেন। ৪ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আগেই ছাত্রলীগে নতুন নেতৃত্ব আসার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads