সময়ের উপস্থিতি একটু একটু করে বোঝা যায় শরীরে। চামড়া ভাঁজ, ঝাপসা দৃষ্টি, রোগের আখড়া- সব বলে শরীরটা বুড়ো হচ্ছে। কিন্তু মন? অত সহজে বুড়ো হয় না। আর হয় না বলেই বোধহয় ৬৩ বছর বয়সেও কমনওয়েলথ গেমসে নামা যায়! তাও আবার পিস্তল হাতে! বার্নার্ড চেস। বার্বাডোজের দাদু। বাড়ির উঠোনে তার পরিচয় এটুকু।
কিন্তু চৌকাঠ পেরোলে? এক সময় কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার জোয়েল গার্নারের বলেও দারুণ ব্যাটিং করতেন। ইচ্ছে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের জার্সি গায়ে বাইশ গজে নামার। কিন্তু সে স্বপ্ন বিফলে যায় বার্নার্ডের। এখন ফল আর সবজি বিক্রি করেন। একসময় চুটিয়ে ফুটবল খেলতেন। অ্যাথলেট ও সাইক্লিংয়েও ছিলেন পারদর্শী। কিন্তু হঠাৎ মাথায় কী ভূত চাপে, হয়ে যান শুটার। এবার অস্ট্রেলিয়ার গোল্ড কোস্টে আসেন সোনা জয়ের লক্ষ্যে। পুরুষদের পিস্তল বিভাগে। যদিও সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়নি।