১২শ’ পর্যটক নিয়ে সেন্টমার্টিন যাত্রা করল ৩ জাহাজ
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:২১
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে তিনটি জাহাজ। ছবি : বাংলাদেশের খবর
পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় গন্তব্য প্রবালদ্বীপ সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছে তিনটি জাহাজ। অবশেষে সোমবার (১ ডিসেম্বর) সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়াস্থ বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজগুলো রওনা করে।
চলতি মৌসুমে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন রুটে প্রথম যাত্রায় রয়েছেন ১২শ’ পর্যটক। ভোর থেকেই ঘাটে উপস্থিত হন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা এমভি কর্ণফুলী এক্সপ্রেস, এমভি বার আউলিয়া ও কেয়ারি সিন্ডাবাদ নামের জাহাজের যাত্রীরা।
টিকেট প্রদর্শনের পর প্রত্যেক যাত্রীর হাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ‘পরিবেশবান্ধব’ পানির বোতল উপহার হিসেবে দেওয়া হয়।
ঢাকা থেকে আসা পর্যটক অরূপ হোসেন বলেন, ‘প্রথমবারের মতো সেন্টমার্টিন যাচ্ছি। সত্যিই রোমাঞ্চকর লাগছে। প্রশাসনের তৎপরতাও প্রশংসনীয়। আশা করছি সময়গুলো ভালো কাটবে।’
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতিদিন সর্বোচ্চ দুই হাজার পর্যটক অনুমোদিত জাহাজে যেতে পারবেন। পরবর্তী দুই মাস (৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত) দ্বীপে রাত্রিযাপনের সুযোগ থাকবে। টিকিট সংগ্রহ করতে হবে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের স্বীকৃত অনলাইন প্ল্যাটফর্ম থেকে। প্রতিটি টিকিটে ট্রাভেল পাস ও কিউআর কোড থাকবে। কিউআর কোড ছাড়া টিকিট নকল হিসেবে গণ্য হবে।
জাহাজ মালিকদের সংগঠন ‘সি ক্রুজ অপারেটর ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-এর সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, ‘৬টি জাহাজকে প্রশাসন অনুমতি দিয়েছে। যাত্রীর আনুপাতিক হার বিবেচনায় আজ ৩টি জাহাজ যাচ্ছে। জোয়ার-ভাটা ও নদীর নাব্যতা অনুযায়ী প্রতিদিনের যাত্রার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। বিকেলে সেন্টমার্টিন থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজগুলো আবার কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে ফিরবে।’
গত বছর থেকে টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচল বন্ধ থাকায় কক্সবাজার থেকে দীর্ঘ সমুদ্রপথ অতিক্রমে ভ্রমণ কিছুটা ক্লান্তিকর হতে পারে বলে মনে করেছেন চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক রোকসানা আলী।
তিনি বলেন, ‘সেন্টমার্টিন আমার প্রিয় জায়গা, অনেকবার গিয়েছি। আগে টেকনাফ থেকে দ্রুত যাওয়া যেত, কিন্তু এখন সেটা সম্ভব হচ্ছে না। এতপথ দুরত্বের যাত্রা কিছুটা কষ্টসাধ্য হলেও দ্বীপে পৌঁছে প্রাকৃতিক প্রশান্তি উপভোগ করে তৃপ্তি মিলবে।’
ঘাটে প্রবেশের সময় তল্লাশির পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে।
পুলিশের বিশেষায়িত এ ইউনিটের কক্সবাজার রিজিয়নের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, ‘পর্যটকরা যাতে নির্বিঘ্নে সেন্টমার্টিন যাত্রা উপভোগ করতে পারেন, সেই লক্ষ্যে আমাদের সার্বক্ষণিক তৎপরতা অব্যাহত আছে। সমুদ্রপথে জাহাজে এবং সেন্টমার্টিনে আমাদের সদস্যরা নিরাপত্তা দেবেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে সহায়তা দিতে প্রস্তুত।’
ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন/এমবি

