• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভোজ্যতেলের আমদানি বেড়েছে ১০ শতাংশ

সংগৃহীত ছবি

আমদানি-রফতানি

ভোজ্যতেলের আমদানি বেড়েছে ১০ শতাংশ

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশে বিভিন্ন নিত্য পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ভোজ্যতেলের আমদানিও বাড়ছে।

২০১৮ সালে ভোজ্যতেল আমদানির মোট পরিমাণ ছিলো ২৯ লাখ টন। বার্ষিক ভোজ্যতেল আমদানির ক্ষেত্রে এই পরিমাণ ছিল এ যাবৎ কালের সর্বোচ্চ আমদানি এবং ২০১৭ সালের মোট আমদানির চেয়ে ১০ শতাংশ বেশী।

২০১৭ সালে ২৬ লাখ টনের কিছু বেশি ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছিল। আন্তর্জাতিক বাজারে প্রধান দুই ভোজ্যতেল তথা সয়াবিন তেল এবং পাম তেলের প্রতিযোগিতামূলক মূল্য এবং একই সঙ্গে দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়ন ভোজ্যতেল আমদানি বৃদ্ধিতে বিশেষ অবদান রেখেছে।

মালয়েশিয়া পাম অয়েল কাউন্সিল এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ একথা জানিয়ে বলা হয়, অতীতের মতোই, ২০১৮ সালের পুরো সময়টা, বাংলাদেশের বাজারে পাম তেলের আধিপত্য বজায় ছিল। এ বছরে বাংলাদেশে পামতেল ও পামতেল জাত পণ্যের মোট আমদানি ছিল ১৭ লাখ ২০ হাজার টন; যা ২০১৭ সালের আমদানির চেয়ে ১৭দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি।

উল্লেখ্য, ২০০৩ সাল থেকেই বাংলাদেশে ভোজ্যতেলের বাজারের ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ পাম তেলের দখলে আছে।

এতে বলা হয়, ২০১৮ সালে দেশে সয়াবিন তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ৯ লাখ ৩০ হাজার টনের কিছু বেশি। আগের বছরের তুলনায় এই পরিমাণ ছিল ৩.৭৫ শতাংশ বেশি। এছাড়া গত বছর ১১ লাখ ৪০ হাজার টন সয়াবিন বীজ আমদানি হয়। এই বীজ থেকে ১৮ শতাংশ নিষ্কাশন হারে ২ লাখ ৬ হাজার ৪০০ টন তেল পাওয়া যায়। তবে ২০১৮ সালে সয়াবিনের আমদানি ২০১৭ সালের তুলনায় ০.৪১ শতাংশ কম। এই হিসাবে ২০১৮ সালে দেশে সয়াবিন তেলের মোট প্রাপ্যতা ছিলো ১১ লাখ ৩৬ হাজার টন।

ক্যানোলা অথবা সরিষা বীজের আমদানি ২০১৮ সালে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে এই পণ্যের উচ্চমূল্যই এর প্রধান কারণ। গতবছর এই বীজ আমদানি হয়েছে ৩৪ হাজার ৮০০ টন, যা থেকে ৩৮ শতাংশ নিষ্কাশন হারে তেল পাওয়া গেছে ১৩ হাজার ২২৪ টন। আগের বছর ১ লাখ ৭ হজার ৯৬৮ টন ক্যানোলা/সরিষা বীজ আমদানি হয়েছিলো, যা থেকে নিষ্কাশিত তেলের প্রাপ্তি ছিলো ৪১ হাজার ৭৮৮ টন।

বাজারে চাহিদা ও প্রতিযোগীতামূলক মূল্যের কারণে ২০১৮ সালে পাম তেলের আমদানি ছিল সর্বোচ্চ এবং এই পণ্য ভোজ্যতেলের বাজারে আধিপত্য বজায় রাখে।

চলতি ২০১৯ সালে ভোজ্যতেলের মোট আমদানি ৩০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় , দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভোজ্যতেলের ব্যবহার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃদ্ধির এই ধারা আগামী বছরগুলিতেও অব্যাহত থাকবে বলে সংশ্লিষ্ট মহল আশা করছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads