
ছবি : সংগৃহীত
আদালত অবমাননার অভিযোগ থেকে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে বিএনপির আইনজীবীর বিরুদ্ধে আবেদনকারী আদালতে উপস্থিত না থাকায় তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার এই টাকা জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে জমা দিতে হবে।
রোববার (৩ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করার ঘটনায় আইনজীবীদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়েছিল।
অব্যাহতি পাওয়া আইনজীবীরা হলেন— জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলী, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের মহাসচিব ও বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট ফাহিমা নাসরিন মুন্নি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম সুপ্রিম কোর্ট শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল জব্বার ভুঁইয়া, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সহ-সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান খান ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।
গত ২৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত বিষয়ে সাত জন আইনজীবীর নাম উল্লেখ করে আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথী। ওই আবেদনটি নিয়ে গত ৩০ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানি হয়।
পরে ১৮ অক্টোবর বিএনপিপন্থি সাত আইনজীবীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগের আবেদনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে স্বেচ্ছায় বিবাদি হতে সুপ্রিম কোর্টের বিএনপিপন্থি আরও ১৯৫ জন আইনজীবী আবেদন জানান।
গত ১৫ নভেম্বর আপিল বিভাগের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও মিছিল সমাবেশ করায় তার ব্যাখ্যা দিতে বিএনপির শীর্ষ সাত আইনজীবী নেতাকে তলব করেন আপিল বিভাগ। ১৫ জানুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়। পাশাপাশি তাদের সুপ্রিম কোর্টসহ সব আদালত অঙ্গনে কোনো ধরনের মিছিল সমাবেশ না করার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলা হয়।
সবশেষ গত ২৪ এপ্রিল ওই আইনজীবী নেতাদের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদনের আদেশের জন্য ১২ জুন তারিখ ধার্য করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সেদিন আপিল বিভাগে মামলাটির শুনানি হয়। এতে বিএনপির সাত শীর্ষ আইনজীবী নেতাকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেন আপিল বিভাগ।