• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কমেছে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা

ছবি : সংগৃহীত

দুর্ঘটনা

কমেছে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা

  • চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • প্রকাশিত ২১ জুন ২০১৯

রেললাইনে দুর্ঘটনা রুখতে আইনের কড়াকড়ি ও নাগরিকদের সচেতন করতে রেল কর্তৃপক্ষের নেওয়া নানা কার্যক্রমের সুফল মিলতে শুরু করেছে। ২০১৮ সালে ট্রেনে কাটা পড়ে চট্টগ্রামে যেখানে ৭৯ জনের মৃত্যু হয়েছে, সেখানে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত মারা গেছে ৩০ জন। শুধু চট্টগ্রাম নয়, পুরো রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলেও ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা আগের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

২০১৪ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত চার বছরে পূর্বাঞ্চলে রেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১৩ জনের। গড়ে প্রতি বছর মৃত্যু হয়েছে ৭০৩ জনের বেশি। ২০১৭ সালে মারা গেছে ৮১২ জন। ২০১৮ সাল রেলওয়ের কর্তৃপক্ষের নেওয়া সচেতনতা কার্যক্রমের পর, ওই বছর মারা যায় ৪৩৫ জন। মৃত্যু হার আগের বছরগুলোর তুলনায় প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে।

জিরআরপি পুলিশ দাবি করেছে, ২০১৮ সাল থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত যেসব লোক ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে, তাদের বেশির ভাগের কারণ অসতর্ক চলাচল, চলন্ত ট্রেনে সেলফি তোলা, কানে হেডফোন লাগিয়ে রাস্তা পারাপার। চট্টগ্রামের জিআরপি পুলিশের ওসি মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার ১০ মাসে বিভিন্ন জায়গায় ২০টি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করেছি।

ট্রেন রাস্তার দুই পাশে বাজার না বসা, কানে হেডফোন লাগিয়ে না হাঁটা, সেলফি না তোলাসহ নানা সচেতনামূলক বিষয় বোঝানো হয়েছে। এ সচেতনতা কার্যক্রমের ফলে সুফলও মিলেছে। ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকাংশে কমেছে। বর্তমানে রেলপথের দুই পাশে ১০ ফুট করে ২০ ফুট এলাকায় সব সময় ১৪৪ ধারা জারি থাকে। আইনানুযায়ী ওই সীমানার ভেতর কাউকে পাওয়া গেলে তাকে আইনের ১০১ ধারায় গ্রেপ্তার করা হবে। সীমানার ভেতরে গবাদিপশুও থাকলে আটক করে তা বিক্রি করে সেই অর্থ সরকারের কোষাগারে জমা দেওয়ারও বিধান রয়েছে।

এ বিষয়ে মোস্তাফিজ ভূঁইয়া বলেন, রেললাইন দিয়ে হাঁটা আইনত নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও মানুষ তা মানছে না। তবে শুধু আইন দিয়ে সবকিছু হয় না। সবার আগে জনগণকে সচেতন হতে হবে। এ জন্য আমরা সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান করছি। ট্রেনের রাস্তার আশপাশে গড়ে ওঠা ঘর-বাড়ি ও দোকানপাট উচ্ছেদ করা হলে দুর্ঘটনা আরো কমে আসবে। 

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তা কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, সম্প্রতি আমরা অবৈধ দখলে থাকা রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের এক একর জায়গা উদ্ধার করেছি। খুলশীর রেলগেটসংলগ্ন বিজিএমইএ ভবনের উত্তর ও দক্ষিণ পাশে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদ অভিযান অব্যাহত আছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের জিএম সৈয়দ ফারুক আহমদ বলেন, ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ, রেললাইন ধরে হাঁটা, রেললাইন ধরে হাঁটার সময় মোবাইল ফোনে কথা বলাসহ বিভিন্ন বিষয় সতর্কতামূলক লিফলেট, ব্যানার প্রতিনিয়ত বিলি হচ্ছে। পাশাপাশি স্কুল, কলেজ ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের নিয়েও বৈঠক  হচ্ছে। গণমাধ্যমে প্রচারিত হচ্ছে দুর্ঘটনার খবর। এসব কার্যক্রমের কারণে ট্রেনে কাটা পড়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমে আসছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads