• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বালতির পানিতে ডুবে ১১ মাসের শিশুর মৃত্যু!

শিশুর মৃত্যু

প্রতীকী ছবি

দুর্ঘটনা

বালতির পানিতে ডুবে ১১ মাসের শিশুর মৃত্যু!

  • শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৯ নভেম্বর ২০১৯

বারান্দায় লাল বালতিতে পানি ভর্তি। পাশেই ছোট্ট মেয়েশিশু দিয়া রানী (১১ মাস) ও অপর শিশু শ্রাবন্তী (৫) খেলা করছিল। এরি মধ্যে শিশু শ্রাবন্তী পাশের বাড়িতে গিয়ে অন্য এক খেলায় ব্যস্থ হয়ে পড়ে। কিছুক্ষন পড়ে ফিরে দেখে বালতির পানিতে শিশু দিয়া রানী উল্টে পড়ে রয়েছে। তার চিৎকারে পাশের ঘর থেকে শিশুর মা ও নানী এসে বালতির পানি থেকে ডুবন্ত অবস্থায় শিশুটিকে উদ্ধার করে।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজাবাড়ি ইউনিয়নের লক্ষীপুর গ্রামে শুক্রবার হৃদয়বিদারক এ ঘটনাটি ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহত শিশুর নানী ও মাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনে। স্বজনদের দাবি, খেলতে গিয়ে বালতির পানিতে পড়ে শিশুটির মৃত্যু হয়েছে। তবে পুলিশ বলছে, ঘটনাটি রহস্যজনক। ফলে তদন্ত চলছে।

নিহত শিশু দিয়া রানী পাশের কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের ধনপুর গ্রামের মৃত বিপ্লব ম-লের মেয়ে।

নিহত শিশুর চাচা সঞ্জীবন ম-লের অভিযোগ, ‘মা ও নানি বালতির পানিতে ফেলে হত্যা করেছে শিশুটিকে। কয়েক মাস আগেই শিশুটিকে নিয়ে তার মা বৃষ্টি রানী বাপের বাড়িতে চলে আসে। তিনি জানান, গত ১১ জুলাই শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন শিশুমেয়েটির বাবা বিপ্লব ম-ল। এর পাঁচদিন পর বাড়ি থেকে তিন কিলোমিটার দূরে জঙ্গলের ভিতর থেকে বিপ্লবের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় হত্যাকারীদের আসামি করে কালীগঞ্জ থানায় মামলা হয়। এ মামলা এখন সিআইডি তদন্ত চালাচ্ছে।

নিহত শিশুর মা বৃষ্টি রানী জানান, গত শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘরের ভেতর ঘুমাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময় তার ছোট বোন শ্রাবন্তীর সঙ্গে বারান্দায় খেলছিল দিয়া রানী। খেলার ফাঁকে শ্রাবন্তী পাশের বাড়ি গিয়েছিল। ফিরে এসে দেখে শিশুটি বালতির ভেতর পানির মধ্যে পড়ে রয়েছে। পরে শ্রাবন্তীর চিৎকারে টের পান তিনি। বিকেলে পাশের রাজেন্দ্রপুর একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করে।

শ্রীপুর থানার এসআই রাজীব কুমার সাহা জানান, শিশুমেয়েটির মৃত্যুর ঘটনা রহস্যজনক। ফলে মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই মেয়েশিশুটির মা বৃষ্টি রানী ও নানি গীতা রানীকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনে। ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত চলছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads