• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পেঁয়াজচাষি পরিবারে হাসির ঝিলিক

সংগৃহীত ছবি

কৃষি অর্থনীতি

পেঁয়াজচাষি পরিবারে হাসির ঝিলিক

  • গোয়ালন্দ (রাজবাড়ী) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৫ জানুয়ারি ২০২০

ভালো ও উন্নত জাতের পেঁয়াজ উৎপাদনের জন্য সুখ্যাতি রয়েছে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার। বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানিতে ডুবে যায় নদী তীরের বেশির ভাগ এলাকা। একদিকে বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি আশীর্বাদস্বরূপ রেখে যায় উর্বর পলি মাটি। এ মাটিতেই পেঁয়াজসহ বিভিন্ন ফসলের বাম্পার উৎপাদন করে পদ্মাপাড়ের কৃষকরা। গোয়ালন্দে তিন ধরনের পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। মুড়িকাটা, হালি ও দানা পেঁয়াজ। জেলার কৃষকের ঘরে এখন উঠছে আগাম জাতের মুড়িকাটা পেঁয়াজ। পেঁয়াজের ফলন ও ভালো দাম পাওয়া খুশি কৃষক-কৃষানিরা। চারা লাগানোর ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় কৃষকরা এখন ক্ষেত থেকে পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছে। বসে নেই কৃষানিরাও। তারাও কৃষকের পাশাপাশি ক্ষেত থেকে উঠানো পেঁয়াজপাতা কেটে বাজারে পাঠানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শিকদার মুহা. মোহায়মেন আক্তার জানান, চলতি মৌসুমে গোয়ালন্দে ১৮৫০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ চাষ হয়েছে। উৎপাদন হবে অন্তত সাড়ে ৩০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ। এ বছর বাম্পার ফলনের পাশাপাশি বাজারে বেশি দাম পাচ্ছে কৃষক।  

সরেজমিন গোয়ালন্দ উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের মহিদাপুর চরে গিয়ে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ পেঁয়াজের ক্ষেত। একদিকে মুড়িকাটা পেঁয়াজ তুলছেন কিছু কৃষক। আর সেই পেঁয়াজের পাতা ছাড়িয়ে বিক্রি উপযোগী করছেন কৃষানি ও পরিবারের ছোট ছোট সদস্য। অপরদিকে দানা পেঁয়াজসহ অন্যান্য পেঁয়াজ ক্ষেতের পরিচর্যার ব্যাস্ত কৃষকরা। তেমন কোনো রাস্তা না থাকলেও ট্রাক নিয়ে সরাসরি জমিতে পৌঁছে গেছেন অনেক পেঁয়াজ বেপারী। তারা সরাসরি জমি থেকে কৃষকের কাছ থেকে পেঁয়াজ কিনে রাজধানী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিচ্ছেন। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজবাড়ীর পদ্মাপাড়ের গোয়ালন্দে এ বছর মুড়িকাটা পেঁয়াজের বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে পেঁয়াজের দাম ভালো থাকায় এ এলাকার পেঁয়াজচাষি পরিবারে এখন শুধুই হাসির ঝিলিক। তবে নতুন পেঁয়াজ ওঠার সঙ্গে সঙ্গে কমতে শুরু করেছে বাজারে পেঁয়াজের দাম। আর কৃষি বিভাগ বলছে, একই জমিতে দুবার পেঁয়াজ আবাদ করে পদ্মাপাড়ের কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছে। তবে এই দাম আগামীতে না পাওয়ার সম্ভাবনাও তাদের দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে জানায় একাধিক কৃষক। 

উপজেলার চর দৌলতদিয়া কর্ণেশনা গ্রামের কৃষক আবদুস সামাদ মোল্লা জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে মোট ৬০ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে তিনি পেঁয়াজ তুলতে শুরু করেছেন। বর্তমানে ২ হাজার টাকা মণ বিক্রি করছেন। আশা করছেন অন্তত ১০০ মণ পেঁয়াজ তোলা সম্ভব হবে। এছাড়া প্রায় ১২ হাজার টাকার পেঁয়াজ কলিও তিনি বিক্রি করেছেন। অপর কৃষক আ. মান্নান শেখ জানান, গতবছর পেঁয়াজ চাষ করে লাভ হয়নি। কিন্তু চলতি মৌসুমে পেঁয়াজের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামও ভালো আছে।  

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads