• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পীরগঞ্জে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

কৃষি অর্থনীতি

পীরগঞ্জে পেঁয়াজ চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের

  • পীরগঞ্জ (রংপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ নভেম্বর ২০২০

রংপুরের পীরগঞ্জে অতিবৃষ্টি ও বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে উপজেলা কৃষি বিভাগের তৎপরতায় আগাম রবি ফসল উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছে কৃষকেরা। আর এ ক্ষেত্রে পেঁয়াজ উৎপাদনে কৃষকদের মাঝে ব্যাপক আশার সঞ্চার হয়েছে।

সূত্রে জানা গেছে, অসময়ের অতিবৃষ্টি ও বন্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নের কৃষকদের ১হাজার ৫৬০ হেক্টর জমির আমন ধান সহ রবি শষ্যের ক্ষতি হয়েছে। এতে কৃষকেরা চরম হতাশাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কৃষকদের এ হতাশা লাঘবে পীরগঞ্জ উপজেলা কৃষি বিভাগ উপজেলার বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা প্রনয়ণ করাসহ তাদের মনোবল দৃঢ় রাখতে সরকারি প্রণোদনা দেয়ার আশ্বাস প্রদান করেন। পাশাপাশি বন্যার ক্ষতি পুষিঁয়ে নিতে কৃষকদের নিয়ে আগাম পেঁয়াজ, আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, মরিচ, বেগুন, শিম, বরবটি, মুলা, সরিষা, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক শব্জি উৎপাদনের উৎসাহ ও সরকার প্রদত্ত সরবরাহকৃত বিনামূল্যের বীজ ও সার সরবরাহ করে।

এছাড়া মাঠ পর্যায়ে পীরগঞ্জ পৌরসভা সহ উপজেলার ১৫টি ইউনিয়নে দায়িত্বরত সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়মিত কৃষকের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে তাদের পরামর্শ প্রদান করে। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক ছাড়াও অন্যান্য অনেক কৃষকেই আগাম বিভিন্ন রবি ফসল উৎপাদন করেছেন । ইতোমধ্যে অনেকেই আবার শাক-শব্জি বিক্রি করে ভাল মুনুফা পেতে শুরু করেছেন। পীরগঞ্জ পৌর এলাকাসহ উপজেলার বড়দরগাহ, রায়পুর, পাঁচগাছি, চতরা,কুমেদপুর, কাবিলপুর সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকায় শত শত হেক্টর জমিতে আলু, ফুলকপি, বাধাঁকপি, মরিচ, বেগুন, শিম, বরবটি, মুলা, শরিষা, গম ভুট্টাসহ বিভিন্ন প্রজাতির শাক শব্জির সবুজ সমারোহ, এর মধ্যে পিয়াঁজের ক্ষেতই উল্লেখযোগ্য।

কথা হয় বড়দরগাহ ইউনিয়নের পার্বতীপুরের পেঁয়াজ চাষী সেরাজুল ইসলাম এর সাথে, সে এবারে ৫০ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন করেছে। ফলনও বেশ ভাল হয়েছে। তিনি বেশ আশাবাদী । ভাল মুনাফা পাবেন। একই প্রতাশা সব কৃষকের।

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাদেকুজ্জামান সরকার এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ের সহকারি কৃষি কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে প্রতিনিয়ত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের উৎসাহ দিয়ে নতুন টেকনোলজির ব্যবহার, প্রদশর্নী ক্ষেতসহ বিভিন্ন রবিশষ্যে চাষে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। এতে সাড়াও পেয়েছি ব্যাপক হারে। তবে অধিক মুনাফার কারনে পিয়াঁজ চাষীর সংখ্যা একটু বেশী। এবারে পেয়াঁজের লক্ষমাত্রা ৯ শত ৩০ হেক্টর জমি হলেও বেড়ে দাড়িয়েছে সাড়ে ১১ শত হেক্টর জমি। আগামী ১ মাসের মধ্যে শীতের কুয়াশা মাত্রাতিরিক্ত না হলে পেঁয়াজ সহ প্রতিটি রবি শষ্যেই ভাল ফলনসহ ভাল মুনাফা পাবে কৃষকরা এবং বন্যার ক্ষতি অনেকটা পুষিয়ে নিতে পারবেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads