• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি: সংগৃহীত

এশিয়া

উ. কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ধসে পড়েছে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ এপ্রিল ২০১৮

উত্তর কোরিয়ার প্রধান পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র ভেঙে পড়েছে। ফলে দেশটির বড় একটি অংশ জুড়ে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পার্শ্ববর্তী দেশ চীনেও এই তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে খবরে বলা হয়। খবর বিবিসি।

স্থানীয় সময় বুধবার সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টে (এসসিএমপি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। এক গবেষকের বরাত দিয়ে হংকংভিত্তিক ওই গণমাধ্যম জানায়, চীন সীমান্তবর্তী উত্তর কোরিয়ার পাঙগি-রিতে অবস্থিত উত্তর কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্রটি ভেঙে পড়েছে। এটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পরমাণু কেন্দ্রটি ব্যবহার করা আর নিরাপদ নয়। এ কারণেই দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন গত শনিবার পরমাণু কর্মসূচি ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মেরেছেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের বৈঠককে সামনে রেখে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। আজ সকালে কিম ও মুনের বৈঠকটি হবে। আর মে মাসে হবে ট্রাম্পের সঙ্গে উনের বৈঠক।

২০০৬ সাল থেকে পাঙগি-রি পরমাণু কেন্দ্রে ছয়টি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হয়। ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি অব চায়নার (ইউএসটিসি) পক্ষ থেকে কয়েক মাস অনুসন্ধানের পর উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কেন্দ্র সম্পর্কে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেন বিজ্ঞানীরা। গত সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর পর ওই কেন্দ্রটিতে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। তারপরেই আরো চারবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাপত্রটি আমেরিকান জিওফিজিক্যাল ইউনিয়নের জার্নাল জিওফিজিক্যাল রিসার্চ লেটারে প্রকাশিত হওয়ার কথা রয়েছে। গবেষকরা বলছেন, সেপ্টেম্বরের পারমাণবিক পরীক্ষার সাড়ে ৮ মিনিট পর পরীক্ষা কেন্দ্রমুখী একটি স্থাপনা খাড়া অবস্থায় ধসে পড়ে।

এই পরমাণু পরীক্ষা কেন্দ্রটির অবস্থান উত্তর কোরিয়ার উত্তর-পূর্ব পাহাড়ি অঞ্চলে। মন্তাপ পাহাড়ের নিচে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে খুঁড়ে এখানে পারমাণবিক পরীক্ষাগুলো চালানো হতো। ইউএসটিসির ওয়েবসাইটে গবেষণাটির এক পৃষ্ঠার একটি সারাংশও রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ধসের ঘটনা মন্তাপ পাহাড়ের নিচের ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থাপনার সক্ষমতা কমিয়ে দেওয়ায় ভবিষ্যতে আর ওই স্থাপনাকে পারমাণবিক পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads