• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
আনোয়ার ইব্রাহিমের  মুক্তি স্থগিত

মালয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম

ইন্টারনেট

এশিয়া

আনোয়ার ইব্রাহিমের মুক্তি স্থগিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১৬ মে ২০১৮

মালয়েশিয়ার সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মুক্তি স্থগিত করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার কারাগার থেকে তার মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল। তার রাজকীয় ক্ষমার বিষয়টি নিয়ে ক্ষমা প্রশ্নে গঠিত কমিটির বৈঠকের জন্য তার মুক্তি পেছানো হয়েছে। আজ বুধবার এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। খবর বিবিসি ও আলজাজিরা।

মালয়েশিয়ার রাজা ইয়াং দি পারতুয়ান এগংয়ের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়, আনোয়ারের মুক্তির চলমান প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে রাজা সন্তুষ্ট। তবে প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে ক্ষমা প্রশ্নে নির্ধারিত আলোচনার দিন ঠিক করা হয় বুধবার।

রাজ কার্যালয়ের কর্মকর্তা ওয়ান আহমাদ দাহলান বলেন, আজকের বৈঠকে আনোয়ারের মুক্তি চূড়ান্ত করার অনুরোধে সম্মতি জানিয়েছেন রাজা। উপপ্রধানমন্ত্রীর পদমর্যাদা পাওয়া আনোয়ারের স্ত্রী ওয়ান আজিজাহ ইসমাইল জানান, প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদের সঙ্গে তার স্বামীর মুক্তির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে।

আনোয়ারের দল পার্টি কিদিলান রাকয়াত (পিকেআর) ও তার আইনজীবী আর সিভারাসা সাবেক এই উপপ্রধানমন্ত্রীর মুক্তি স্থগিতের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আনোয়ার বর্তমানে মালয়েশিয়ার রাজধানীর চেরাস রিহ্যাবিলেটেশন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ হাসপাতালেই তার কাঁধের সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে।

বিরোধী জোটের নেতৃত্ব নেওয়ার সময় মাহাথির বলেছিলেন, জোট ক্ষমতায় এলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন। তবে দুই বছরের মধ্যে আনোয়ারের মুক্তি নিশ্চিত করে তার কাছে সরকার প্রধানের দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পরও মাহাথির বলেছিলেন, দ্রুতই আনোয়ারর মুক্তি নিশ্চিত করবেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত ৯ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতায় থাকা বারিসন ন্যাসিওনাল সরকারকে হারিয়ে জয়লাভ করে চার দলের নতুন জোট। সে সময় হাসপাতাল থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে আনোয়ার ইব্রাহিম তার দলের সদস্যদের মাহাথিরের সরকারকে শক্তিশালী ও স্থিতিশীল রাখার নির্দেশ দেন।

ক্ষমতাসীন জোটের নেতা মাহাথির আর আনোয়ার জোটের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জেতা দল পিকেআরের নেতা। এ দুজন প্রথমে বন্ধু, তারপর শত্রু ও পরে জোটের মিত্র হয়েছেন। তাদের এমন পরিবর্তনশীল সম্পর্কই গত তিন দশক ধরে মালয়েশিয়ার রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছে। এই দুইজনের সম্পর্কের ওপরই নির্ভর করছে জোটের ভবিষ্যৎ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads