জাপানের মধ্য এবং পশ্চিমাঞ্চলে প্রবল বষর্ণ ও ভূমিধসে অন্তত ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। গত কয়েক দিনের টানা বর্ষণে এখনো নিখোঁজ রয়েছে ৫০ জন। আহত হয়েছে অনেকে। আহতদের পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে গতকাল শনিবার জানিয়েছে দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে। খবর বিবিসি।
ভারী বর্ষণের কারণে ওই দুই অঞ্চল থেকে অন্তত ১৬ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। প্রধান দ্বীপ হনশুর পশ্চিমাঞ্চলের অন্তত চারটি এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। প্রবল এই বর্ষণকে ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়ে আবহাওয়া সংস্থা থেকে ভূমিধস, নদীর পানি বৃদ্ধি ও শক্তিশালী বাতাসে অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করতে বাসিন্দাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। টোকিও থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরের শিকোকু দ্বীপের মোতোইয়ামা শহরে শুক্রবার ও শনিবার সকালে ৫৮৩ মিলিমিটার (প্রায় ২৩ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জাপানের পশ্চিম এবং পূর্বাঞ্চলে আবহাওয়া স্থিতিশীল থাকলেও তীব্র গরম বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় সেখানে ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বর্ষণে পশ্চিমাঞ্চলের হিরোশিমা শহরের একটি সেতু থেকে নদীতে পড়ে একজনের মৃত্যু হয়। কিয়োটো থেকে ৪৬ কিলোমিটার পূর্বাঞ্চলের তাকাশিমায় ৭৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা গেছেন। একটি খালে ময়লা আবর্জনা পরিষ্কার করতে গিয়ে তিনি স্রোতে ভেসে যান।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, বন্যা এবং ভূমিধসের শঙ্কায় আরো ১৬ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো ৩১ লাখ মানুষকে বাড়িঘর ছাড়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ৪৮ হাজার পুলিশ, দমকলকর্মী এবং আন্তঃপ্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা দুর্যোপূর্ণ এলাকায় কাজ করে যাচ্ছে।
