• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
থাই গুহা থেকে মোট উদ্ধার ৮ জন

গুহা থেকে উদ্ধারের পর কিশোরদের অ্যাম্বুলেন্সে করে বের করে নেওয়া হয়

এশিয়া

থাই গুহা থেকে মোট উদ্ধার ৮ জন

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৯ জুলাই ২০১৮

থাইল্যান্ডে ‘থাম লুয়াং’ গুহায় আটকে পড়া দলটির আরো চারজনকে আজ সোমবার উদ্ধার করা হয়েছে। এ নিয়ে আটকা পড়া মোট ১৩ জনের মধ্যে আট জনকে বের করা হলো। এর আগে রোববার চার জনকে উদ্ধার করা হয় যারা সবাই এখন হাসপাতালে রয়েছে, তবে তাদের শারীরিক অবস্থা ভালো বলে জানানো হয়।

রোববার উদ্ধার অভিযানের পর প্রায় ১০ ঘণ্টা একটি বিরতি দেওয়া হয়েছিল। এর পর সোমবার আবার উদ্ধার অভিযান শুরু হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, যে উদ্ধারকারীরা স্ট্রেচারে করে বের করে আনা কিশোরদের এ্যামবুলেন্সে তুলছেন বলে দেখা গেছে।

বিবিসির সংবাদদাতা জোনাথন হেড ঘটনাস্থল থেকে জানাচ্ছেন, পুলিশ হেলিকপ্টারে করে উদ্ধারকৃতদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

চিয়াং রাই প্রদেশের ওই গুহাটিতে আটকা পড়ে ১২ জন কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ দু'সপ্তাহেরও বেশি আগে।

উদ্ধার করা কিশোরদের কারো পরিচয়ই এখনো প্রকাশ করা হয় নি, এবং তাদের পরিবারের লোকেরাও এখনো তাদের সাথে দেখা করতে পারেন নি।

কিভাবে উদ্ধার করা হচ্ছে আটকা পড়া দলটিকে ?
রোববার রাত থেকে প্রবল বৃষ্টি শুরু হওয়ায় গুহার ভেতরে আটকা পড়াদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছিল। ভারী বৃষ্টির পর গুহার ভেতর পানির উচ্চতা আরও বেড়ে যেতে পারে এমন আশংকায় রোববারই এই উদ্ধার অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

দক্ষ ডুবুরিরা আটকে পড়া কিশোরদের ডুবে যাওয়া সুড়ঙ্গের পানির ভেতর দিয়ে পথ দেখিয়ে গুহার প্রবেশ মুখে নিয়ে আসছেন।

প্রত্যেক কিশোরকে পুরো মুখ ঢাকা অক্সিজেন মুখোশ পরতে হচ্ছে। প্রতিজনের সামনে এবং পেছনে দুজন ডুবুরি থাকছে গাইড হিসেবে। এরা তাদের এয়ার সিলিন্ডারও বহন করছে।

গুহার যে জায়গায় এই ছেলেরা আটকে পড়েছে, সেখানে যাওয়া এবং সেখান থেকে আবার গুহামুখ পর্যন্ত ফিরে আসতে সবচেয়ে অভিজ্ঞ ডুবুরিরও প্রায় এগারো ঘন্টা সময় লাগছে।

এর মধ্যে কিছুটা পথ হাঁটতে হয়, বাকি পথটা পানির ভেতর দিয়ে হেঁটে এবং ডুব সাঁতার দিয়ে আগাতে হয়।
অনেক চড়াই-উৎরাই আছে গুহার ভেতরে, অনেক জায়গা পানিতে ডুবে আছে। সেখানে ডুব সাঁতার ছাড়া উপায় নেই। আর এই পুরো যাত্রাটাই হচ্ছে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যে।

সবচেয়ে কঠিন অংশটা মাঝামাঝি জায়গায়। এটিকে একটা টি-জাংশন বলে বর্ণনা করা হচ্ছে। এই জায়গাটা এতটাই সরু যে সেখানে ডুবুরিদের তাদের এয়ার ট্যাংক খুলে ফেলতে হচ্ছে।

এরপর ক্ষণিকের যাত্রাবিরতির জন্য গুহার মধ্যে একটা ক্যাম্প মতো করা হয়েছে। সেখান থেকে বাকীটা পথ পায়ে হেঁটে তাদের গুহামুখে আসতে হচ্ছে।

বেরিয়ে আসার পর তাদের সরাসরি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads