রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর দেশটির সেনাবাহিনী ব্যাপক হত্যা, গণধর্ষণ এবং অন্যান্য নৃশংসতা সুপরিকল্পিত মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে এমন সব তথ্য। প্রতিবেদনটি দেখার দাবি করে খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স।
বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলে, এই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ২০ পৃষ্ঠার ওই প্রতিবেদনটি প্রায় এক হাজারেরও বেশি নারী ও পুরুষের সঙ্গে কথা বলে তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্টেট ডিপার্টমেন্ট।
প্রতিবেদনটিতে বলাহয়েছে- গণহত্যা, গণধর্ষণসহ মানবতাবিরোধী সব অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডই করেছে মিয়ানমারের সেনারা। আর এসব অপকর্ম তারা করেছে- শক্ত পরিকল্পনা করেই। রোহিঙ্গাদের ওপর তারা আক্রমণ চালিয়েছে আটসাঁট বেধে, সুসংগঠিত হয়ে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নৃশংসতার নানা তথ্য উঠে এসেছে প্রতিবেদনটিতে। রাখাইন পরিস্থিতির কারণে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞাসহ অন্যান্য শাস্তিমূলক ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
প্রতিবেদনে আরো বলাহয়েছে, রাখাইনে চালানো নিধনযজ্ঞ অনেক বেশি নির্মম। সদ্যজাত শিশুকেও ঠাণ্ডা মাথায় খুন করতে দ্বিধা করেনি সেনারা। জীবন্ত কবর দেয়া, বড় কোনো গর্ত বা গণকবরে ছুড়ে ফেলে হত্যার শিকারও হয়েছে অনেকে। ধর্ষণ করা হয়েছে সবার সামনেই। অপহরণের পর, বেঁধে রেখে দিনের পর দিন ধর্ষণ শেষে, আধমরা করে ফেলে রাখার মতো লোমহর্ষক বর্ণনাও দিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে দেশছাড়া করতেই, এই বিস্তৃত পরিসরের নৃসংশতা চালানো হয়েছে বলে প্রতিবেদনটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিলেটেড সংবাদ:
- রোহিঙ্গা শিশুদের শিক্ষায় ২০০ কোটি টাকা দেবে বিশ্বব্যাংক
- অর্ধেকের বেশি ত্রাণ বিক্রি করে দিচ্ছে রোহিঙ্গারা
- 'রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জাতিসংঘে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী'
- রোহিঙ্গা আশ্রয়ণে মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে পরিবেশ
- রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে কাজ করছে ভারত : শ্রিংলা
- রোহিঙ্গাদের স্থায়ীভাবে আশ্রয় দেওয়ার কথা ভাবছি না : পররাষ্ট্র সচিব