• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
করোনা: চীনের প্রতিবেশী দেশ হয়েও তাইওয়ান যেভাবে সফল

শুধু গণপরিবহনে তাইওয়ানের মানুষ মাস্ক ব্যবহার করছে।

রয়টার্সের ছবি

এশিয়া

করোনা: চীনের প্রতিবেশী দেশ হয়েও তাইওয়ান যেভাবে সফল

  • অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০২০

সারা বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মহামারিতে লড়াই করছে, তখন এর বিরুদ্ধে  এখন পর্যন্ত  যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণে সফলতা দেখিয়ে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছে তাইওয়ান।

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের খুব কাছাকাছি তাইওয়ানের অবস্থান হলেও এখন পর্যন্ত সেখানে মাত্র ৪৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন মাত্র একজন।

সেখানে জীবনযাত্রা একেবারেই স্বাভাবিক। শুধু গণপরিবহনে চলাচলের সময় লোকজনকে মাস্ক পরতে হচ্ছে।

স্বাভাবিকভাবে এই কৌতুহল এখন সর্বত্র যে যেখানে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় চীনকে হিমশিম খেতে হচ্ছে, সেখানে কী জাদুবলে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলল তাইওয়ান?

এর সঠিক উত্তর হচ্ছে—অতীত থেকে তাইওয়ান শিক্ষা নিয়েছে। ২০০৩ সালে তাইওয়ানের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের পরিচালক সু ইহ-জেনকে সার্সের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছিল। ওই সময় দেশটিতে সার্স ভাইরাস মারাত্মক প্রভাব ফেলেছিল।

কিন্তু এবারের চিত্র সম্পূর্ণ আলাদা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপে যে ভয় ও বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে, তার ছিটেফোঁটাও তাইওয়ানে নেই। চীনের খুব কাছে থাকায় ২ কোটি ৩০ লাখ জনসংখ্যার দেশ তাইওয়ানকে ‘দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ’ অঞ্চল হিসেবে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল।

এখানকার সাড়ে আট লাখ মানুষ চীনের মূল ভূখণ্ডে কাজ করেন। একেবারে চীনা নববর্ষের সময় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা তাইওয়ান বড় বিপদে পড়তে যাচ্ছে বলে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন।

অধ্যাপক সু জানান, ‘২০০৩ সালের শুরুতে তাইওয়ানে কয়েক সপ্তাহে সার্স যেভাবে ছড়িয়েছিল, তার মতোই পরিস্থিতই এখন অনেক দেশে। তারা প্রস্তুত নয়, তাদের অভিজ্ঞতাও নেই।’

ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৩ সালের ওই সার্স মহামারির পর তাইওয়ানের পুরো পাবলিক হেলথ সিস্টেম পরিবর্তন করে ফেলেন অধ্যাপক সু। 

বাকি বিশ্বের জন্য ভালো খবর হচ্ছে, করোনাভাইরাস মহামারিতে সাড়া দেওয়ার জন্য তাইওয়ান গত তিন মাসে যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তা অনুসরণ করা। তাইওয়ান রোগের বিস্তারের গতি ও এর প্রভাব কমাতে সক্ষম হয়েছে।

যেভাবে তাইওয়ান সফল হলো- প্রাথমিক স্তরের ভ্রমণের বিধিনিষেধ, আগ্রাসী পরীক্ষা, করোনাভাইরাস রোগীর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের শনাক্ত করা এবং কঠোর কোয়ারেন্টিন বা পৃথক্‌করণ বিধিমালা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা, জনস্বাস্থ্যের প্রতিক্রিয়ার জন্য পরিষ্কার ব্যবস্থাপনার কাঠামো এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করতে সক্রিয় যোগাযোগও সাহায্য করতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পক্ষ থেকে যদিও চীন থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা বলা হচ্ছে, তবু স্বাস্থ্য খাতের বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাইওয়ান মহামারি মোকাবিলায় পশ্চিমাসহ সব আক্রান্ত দেশের জন্য আরও ভালো মডেল হতে পারে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads