• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

এশিয়া

মিয়ানমারে তীব্র হচ্ছে আন্দোলন, টুইটার-ইনস্টাগ্রাম বন্ধ

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারে ফেসবুকের পর এবার টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে সামরিক সরকার। দেশটির প্রধান ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের একটি টেলিনর নিশ্চিত করছে, 'পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত' গ্রাহকদের ওই দুটি সাইটে ঢোকা থেকে বিরত রাখতে বলা হয়েছে তাদের। খবর বিবিসির।

'দেশটির জনগণের মধ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার'র লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার ফেসবুক ব্লক করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল জান্তা সরকার।

গত ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল এনএলডি নিরঙ্কুশ জয় পায়। পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য যেখানে ৩২২টি আসনই যথেষ্ট, সেখানে এনএলডি পেয়েছিল ৩৪৬টি আসন। সোমবার থেকে নতুন পার্লামেন্টের অধিবেশন শুরু হওয়ার কথা ছিল।

এনএলডি নিরঙ্কশ জয় পেলেও সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিল। তারা নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। যদিও ইউএসডিপি ৭১টি আসনে জয় পেয়েছে।

গত সোমবার ভোরে মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে প্রেসিডেন্ট ইউ উইন মিন্ট এবং স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চিসহ এনএলডির শীর্ষ নেতাদের আটক করে এবং দেশে জরুরি অবস্থা জারি করে সেনাবাহিনী। এই সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং।

সোমবারের সেনা অভ্যুত্থানের পর শুক্রবার বিকেলে কয়েকশ ছাত্র-শিক্ষক জড়ো হয় দাগন ইউনিভার্সিটির প্রাঙ্গণে। তারা তিন আঙ্গুলের স্যালুট প্রদর্শন করছিল- এই স্যালুট এই এলাকার বিক্ষোভকারীরা রপ্ত করেছে স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে। তারা সু চির পক্ষে শ্লোগান দেয় এবং লাল পতাকা উড়ায়।

মানুষ সেনাবাহিনীর ধরপাকড়ের ভয়ে এখনো পর্যন্ত রাস্তায় নেমে বড় ধরণের বিক্ষোভ করেনি। কিন্তু তাদের কথা যাতে মানুষ জানতে পারে সেই কারণে তারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করছে। যে কারণে এগুলো ব্লক করে মানুষের প্রতিবাদের মাধ্যম বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছে সামরিক সরকার।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads