• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাস্তবতার নিরিখে হয়নি মুদ্রানীতি

সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ

সংরক্ষিত ছবি

ব্যাংক

প্রতিক্রিয়ায় ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ 

বাস্তবতার নিরিখে হয়নি মুদ্রানীতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ আগস্ট ২০১৮

বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি দেশের অর্থনীতির নিরিখে হয়নি বলে অভিমত সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদের। বাংলাদেশের খবরকে তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথমার্ধের জন্য যে মুদ্রানীতি ঘোষণা করেছে তার কোনো বিশেষত্ব নেই। এটি গড়পড়তা একটি বিবৃতি। আগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।

এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই গভর্নর বলেন, প্রায় সব সূচক আগের মতো রাখা হয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট আগের মতো নেই। কোনো নতুনত্ব আনা হয়নি। সরকারি ব্যাংকঋণের প্রবাহ বাড়ানোর লক্ষ্যমাত্রার সমালোচনা করে তিনি বলেন, এটি করে লুটপাট হয়। উন্নয়নের নামে দুর্নীতি হয়। সরকারি অর্থে কোনো কর্মসংস্থান বাড়ে না। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায়। নির্বাচনকে সামনে রেখে সরকারের সহায়ক হিসেবে মুদ্রানীতি একটি রাজনৈতিক বিবৃতি হয়ে গেছে।

তাই বেসরকারি খাতে ঋণের জোগান বাড়ানো দরকার। কিন্তু সেটি করা হয়নি। বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধি হলে কর্মসংস্থান বাড়বে। অর্থনীতি গতিশীল হবে।

বিদায়ী মুদ্রানীতিতে সরকারের ঋণ প্রবৃদ্ধি ছিল ৮ দশমিক ৬ শতাংশ। সেটি বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ। তবে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৮ শতাংশই পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিনিয়োগ ও অর্থনীতিকে আরো বেশি গতিশীল করতে বেসরকারি খাতে ঋণের সুদহার কমিয়ে এক অঙ্কে নামিয়ে আনার ঘোষণা দিলেও ঋণের জোগান বাড়বে না।

এসএমইসহ ছোট ছোট খাত কীভাবে প্রাণ পাবে এমন দিকনির্দেশনা থাকা দরকার ছিল। এসব বলা হয়নি। তাছাড়া গত মুদ্রানীতিতে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা যায়নি। সেখানে ব্যর্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বছর শেষে ঘোষিত মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে দাঁড়ায় ৫ দশমিক ৭৮ শতাংশ। ধারাবাহিক মুদ্রানীতি দিয়ে এবারো মূল্যস্ফীতি সহনীয় করা যাবে না।

বেসরকারি খাতকে উজ্জীবিত করার কোনো কথা বলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, এটি করা না গেলে অর্থনীতি অগ্রসর হবে কীভাবে। তাছাড়া আমদানি-রফতানি বাণিজ্য নিয়ে নানা কথা হচ্ছে, তার ব্যাপারে মুদ্রানীতিতে সুনির্দিষ্ট বক্তব্য জরুরি ছিল।

গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বলেন, আগেকার ধারাবাহিকতায় প্রবৃদ্ধিবান্ধব এবং সংযত ধরনের মুদ্রানীতি ভঙ্গি ঠিক করা হয়েছে। তবে মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা হবে। আর সরকারের উচ্চতর প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ব্যাংকিং খাত থেকে অভ্যন্তরীণ ঋণের জোগান বাড়িয়ে ১৫ দশমিক ৯ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ মাসের জন্য। যেটি সর্বশেষ মুদ্রানীতিতে ছিল ১৪ দশমিক ৬ শতাংশ।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads