• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এজেন্ডার বাইরে সিদ্ধান্ত নয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এজেন্ডার বাইরে সিদ্ধান্ত নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ অক্টোবর ২০১৮

ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নতুন নির্দেশনা মোতাবেক, তফসিলি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের সভায় এজেন্ডা বহির্ভূত কোনো বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের উপস্থাপিত নয় এমন বিষয় পর্ষদ সভায় সামান্য আলোচনা করে অনেক সময় অনুমোদন করা হচ্ছে। টেবিলে উপস্থাপনের নামে এসব অনুমোদন করে কিছু কিছু ব্যাংক অনিয়ম করছে। বলা যায়, অনিয়মের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে এই কৌশল। 

গতকাল রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ব্যাংকের পর্ষদ সভায় এজেন্ডা বহির্ভূত বিষয় উপস্থাপিত হলে পর্ষদের সব সদস্য উপস্থাপিত বিষয় সম্পর্কে পূর্ব থেকে অবহিত থাকার সুযোগ পান না। এতে পরিচালকরা উপস্থাপিত বিষয়ের বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে মতামত প্রদানের সুযোগ থেকে বঞ্চিত হন।

প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, পর্ষদে কোনো প্রস্তাব উপস্থাপনের পূর্বে ব্যাংক কর্তৃক প্রস্তাবটির বিভিন্ন দিক বিচার বিশ্লেষণ করা হয়। এক্ষেত্রে সে সুযোগও থাকে না। তাই এজেন্ডা বহির্ভূত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ফলে ব্যাংক ও আমানতকারীদের স্বার্থ বিঘ্নিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে, এজেন্ডা বহির্ভূত কোনো বিষয় পর্ষদ কর্তৃক বিবেচনা না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া যাচ্ছে।

তবে অতি জরুরি কোনো বিষয় যদি একান্তই বিবেচনা করতে হয় সেক্ষেত্রে যথাযথ যুক্তি কার্য বিবরণীতে অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠানো চিঠিতে প্রজ্ঞাপনটি ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভায় উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকিং খাতের সুশাসনে বেশিরভাগ সময় অন্তরায় ব্যাংকের পরিচালকরা। পরিচালনা পর্ষদের সদস্য নন এমন ব্যক্তিদের পর্ষদ সভায় অংশ নেওয়ার নজিরও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত তৈরি করেছে। ব্যাংকগুলোর বড় অনিয়ম ও জালিয়াতি পর্ষদের সায় ছাড়া কোনোভাবেই সংঘটিত হতে পারে না। ফলে পরিচালকদের মধ্যে সুশাসন ও দুর্নীতির মনোভাব কমলে এই খাতে শৃঙ্খলা ফিরবে অনেকটা।

বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক মিলিয়ে সাতশোর কিছু বেশি পরিচালক রয়েছেন। যাদের মধ্যে অর্ধ শতাধিক নারী পরিচালকও রয়েছেন। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ও একটি বেসরকারি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন নারী। 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads