• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ব্যাংকগুলোর জন্য বিশদ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা

বাংলাদেশ ব্যাংকের লোগো

সংগৃহীত ছবি

ব্যাংক

ব্যাংকগুলোর জন্য বিশদ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৯ অক্টোবর ২০১৮

দেশের তফসিলি ব্যাংকগুলোর জন্য একটি বিশদ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা নীতিমালা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গতকাল সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের অফ সাইট সুপারভিশন বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের পাঠিয়েছে। এর আগে ২০১২ সালে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়। এরপর ২০১৫ সালে আরেকটি প্রজ্ঞাপনে নতুন করে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে আগের সব নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত করে গতকাল বিশদ নীতিমালা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, আগামী এক বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই নীতিমালার আলোকে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে নিজেদের মতো একটি নীতিমালা করতে হবে। প্রণীত নীতিমালা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিকায়ন করা যাবে।

নতুন নির্দেশনা মোতাবেক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নির্বাহী কমিটির সঙ্গে ব্যবস্থাপনায়ও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এখন বাধ্যতামূলকভাবে প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা নিয়োগ করতে হবে। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় একটি কমিটি থাকবে। কমিটিকে নির্ধারিত সময় পর পর অবশ্যই বৈঠক করতে হবে। যার সিদ্ধান্ত নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। একই সঙ্গে বৈঠকের সাত দিনের মধ্যে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনাবিষয়ক নির্বাহী কমিটির বৈঠক জানাতে হবে।

৩৯ পৃষ্ঠার নির্দেশনায়, ঝুঁকির ধরন চিহ্নিতকরণ, পর্যালোচনা, মোকাবেলার কৌশল, পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির করণীয়, ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব, প্রধান ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তার দায়িত্ব, পরিচালনা ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ও এর রিপোর্টিং বিষয়ে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ব্যবস্থাপনার সমন্বয়, পর্যাপ্ত নীতি, সঠিক তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবস্থাপনা এবং বিশদ অভ্যন্তরীণ নীতিমালার আলোকে ঝুঁকি নির্ণয় ও মোকাবেলা করা সহজ হয়ে যায়। আর পর্ষদে ব্যাংকের সার্বিক ঝুঁকির দায় নিতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এতে। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগকে শক্তিশালী করার কথা বলা হয়েছে এতে।

নতুন নীতিমালা সঠিকভাবে পরিপালন করলে ব্যাংকগুলোর সব ধরনের ঝুঁকি অনেকটা কমে যাবে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে ব্যাংক থেকে নিয়ম ভেঙে অর্থ বের করে নেওয়া যেমন কঠিন হবে, তেমনি ব্যাংকের ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ করা যাবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads