• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
গ্রামীণ সড়ক-সেতু সংস্কারে ৪ হাজার ৪০০ কোটি দেবে বিশ্বব্যাংক

লোগো বিশ্বব্যাংক

ব্যাংক

গ্রামীণ সড়ক-সেতু সংস্কারে ৪ হাজার ৪০০ কোটি দেবে বিশ্বব্যাংক

দুই প্রকল্পের ঋণচুক্তি সম্পন্ন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮

পল্লী এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নে বিদ্যমান সেতুর সংস্কার ও ছোট আকারের সেতু নির্মাণে ৪২ কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। পল্লী পরিবহন উন্নয়ন কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে সংস্থাটি দেবে আরো ১০ কোটি ডলার। দুই প্রকল্পে ঋণ হিসেবে ৫২ কোটি ৫০ লাখ ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।

রাজধানীর অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সরকারের পক্ষে ইআরডির অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম ও বিশ্বব্যাংকের পক্ষে সংস্থার ঢাকা অফিসের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান চুক্তিতে সই করেন। চুক্তি অনুষ্ঠানে ইআরডি, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ও বিশ্বব্যাংকের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানে বলা হয়েছে, গ্রামীণ সেতু নির্মাণ, সংস্কার ও সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে সেতু নির্মাণে ঋণ দেওয়া হচ্ছে। এতে দেশের দুই-তৃতীয়াংশ জনগণ উপকৃত হবে। কর্মসূচির আওতায় ৮৫ হাজার মিটার সেতু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করা হবে। ২৯ হাজার মিটার সেতুর প্রশস্ততা বাড়ানো বা প্রতিস্থাপন করা হবে। এর বাইরে আরো ২০ হাজার মিটার নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের কাজে ৫৫ লাখ দিন কর্মসৃজন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।

বিশ্বব্যাংকের পক্ষ থেকে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়কের ঘনত্ব সন্তোষজনক। নদীমাতৃক এ দেশের মোট আয়তনের তুলনায় সড়কের হার ভারত, শ্রীলঙ্কাসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশের তুলনায় বেশি। নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগের জন্য দেশের ইউনিয়ন ও উপজেলা সড়কে গড়ে প্রতি সাড়ে ৪ কিলোমিটারে একটি করে সেতু প্রয়োজন। সে হিসাবে বর্তমানে ২০ শতাংশ কম সেতু রয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৬১ জেলায় সেতু নির্মাণ, প্রশস্ততা বাড়ানো ও সংরক্ষণে কাজ করা হবে। উপকূলীয় ১৯ জেলায় সেতু নির্মাণে জলবায়ু সহনশীলতায় গুরুত্ব দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, পল্লী পরিবহন উন্নয়ন কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায় বাস্তবায়নে অতিরিক্ত অর্থায়ন হিসেবে ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। এ প্রকল্পে ইতোমধ্যে ৩০ কোটি ডলার ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি। প্রকল্পের আওতায় সাম্প্রতিক বন্যা ও দীর্ঘমেয়াদি বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পের আওতাধীন ১৮ জেলার ১ হাজার ৪৩৩ কিলোমিটার উপজেলা ও ইউনিয়ন রাস্তা মেরামত, আবহাওয়া সহনশীল রাস্তার নকশা এবং প্রকল্প মূল্যায়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। প্রকল্পটি ২০২১ সালের জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে।

অনুষ্ঠানে চিমিয়াও ফান বলেন, বাংলাদেশে শক্তিশালী গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে এই সড়ক নেটওয়ার্ক বিশেষ ভূমিকা রাখছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এই নেটওয়ার্ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ জন্য রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে।

অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য দুটি প্রকল্পই গুরুত্বপূর্ণ। একটি প্রকল্পে ফলাফলের ভিত্তিতে অর্থায়ন করা হবে। কিছু কাজের সফলতার ভিত্তিতে পরের অংশের জন্য অর্থছাড় করা হবে। এ পদ্ধতি প্রকল্পের মান বাড়াবে।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, তুলনামূলক সহজ শর্তে ঋণ দানে সহায়ক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক। ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ৫ বছর। রেয়াতকাল-পরবর্তী শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে। সুদের হার ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর বাইরে ছাড় না হওয়া অর্থের ওপর শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে কমিটমেন্ট ফি প্রযোজ্য হবে। সব মিলিয়ে এ ঋণে বছরপ্রতি আড়াই শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads