• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
মামলা দায়েরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সায়

রিজার্ভ চুরি মামলা দায়েরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সায়

প্রতীকী ছবি

ব্যাংক

রিজার্ভ চুরি

মামলা দায়েরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সায়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির ঘটনায় মামলা করার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। গতকাল রোববার এ অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পর্ষদ সূত্র। সূত্রমতে, চলতি সপ্তাহেই মামলা দায়ের করতে বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট-বিএফআইইউকে নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যদিও ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময় পাচ্ছে বাংলাদেশ।

জানতে চাইলে বিএফআইইউর প্রধান আবু হেনা মোহাম্মদ রাজী হাসান বাংলাদেশের খবরকে বলেন, মামলার রূপরেখা চূড়ান্ত। আমাদের একটি টিম যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছে। গিয়েই মামলা দায়ের করবে। নানা দিক চুলচেরা বিশ্লেষণ করে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়েছে। টাকা উদ্ধারে সব সময় সামনে। তাই কোনো ধরনের তাড়াহুড়া করা হয়নি। আন্তর্জাতিক আইন মোতাবেক, এমন ঘটনায় মামলা করতে সর্বোচ্চ তিন বছর সময় পাওয়া যায়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ হিসাব থেকে সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হয় ৮১ মিলিয়ন ডলার। এর ১৪ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন ফিলিপাইন আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফেরত আনা গেছে। এ ছাড়া ফিলিপাইনের রিজাল কমার্শিয়াল ব্যাংক করপোরেশন-আরসিবিসি বাংলাদেশ ব্যাংককে দশমিক শূন্য ৭ মিলিয়ন ডলার ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসেই ফেরত দিয়েছে।

বিএফআইইউ সূত্র বলছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থের অবশিষ্ট অংশ দ্রুত উদ্ধার এবং তা ফেরত আনার লক্ষ্যে বিভিন্ন আইনি কার্যক্রম বর্তমানে ফিলিপাইনে চলমান। সোলাইরে নামক ক্যাসিনোতে যে ২৯ মিলিয়ন ডলার স্থানান্তরিত হয় তা ফিলিপাইনের আদালত ফ্রিজ করেছে। বর্তমানে ফিলিপাইনের সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন এ সংক্রান্ত মামলা। ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কিম অং-এর দুজন কর্মচারীর হিসাবে যাওয়া ১ দশমিক ২ মিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ অর্থের সন্ধান পাওয়া গেছে। ফিলিপাইনের আদালতের নির্দেশে ওই হিসাবগুলোতে লেনদেন বন্ধ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ আশা করছে, আদালতের মাধ্যমে এ অর্থ ফেরত পাওয়া যাবে। এ ছাড়া মানি রেমিট্যান্স কোম্পানি ফিলরেমের কাছে ১৭ মিলিয়ন ডলার রক্ষিত রয়েছে মর্মে বিভিন্ন পর্যালোচনা ও অনুসন্ধানে পরিলক্ষিত হয়েছে। এই অর্থ ফিলরেম থেকে উদ্ধারে মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে ফিলিপাইনে।

বাংলাদেশ আশা করছে, সাইবার হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে চুরি হওয়া অর্থের অবশিষ্ট ৬৬ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার আইনি প্রক্রিয়ায় সংশ্লিষ্ট আদালতের আদেশের মাধ্যমে ফেরত আসবে। এরপর বাকি অর্থ উদ্ধারে বর্ণিত উৎস্য থেকে উদ্ধারের পর যে পরিমাণ অর্থ অনাদায়ী থাকবে তা আরসিবিসি থেকে উদ্ধার করতে হবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads