• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

ব্যাংক

বিনিয়োগের সীমা কমল সঞ্চয়পত্রে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ ডিসেম্বর ২০২০

জাতীয় সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগের সীমা কমিয়েছে সরকার। নতুন নিয়ম অনুযায়ী একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ এবং যৌথ নামে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা যাবে না। যা আগে ছিল একক নামে সর্বোচ্চ এক কোটি ৫৫ লাখ এবং যৌথ নামে দুই কোটি ১৫ টাকা। 

গত বৃহস্পতিবার এ সম্পর্কিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (সঞ্চয় শাখা) সিনিয়র সহকারী সচিব নুসরাত জাহান নিসু স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই বিনিয়োগের সীমা পুনর্নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘সঞ্চয়পত্র রুলস, ১৯৭৭ এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র নীতিমালা, ২০০৯-এ বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা বিষয়ে যাহাই বলা থাকুক না কেন সরকার পাঁচ বছর মেয়াদি বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র, তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র এবং পরিবার সঞ্চয়পত্র তিনটি স্কিমের বিপরীতে সমন্বিত বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা একক নামে সর্বোচ্চ ৫০ লাখ টাকা অথবা যৌথ নামে সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা নির্ধারণ করিল। জনস্বার্থে এই আদেশ জারি করা হইল। ইহা জারির তারিখ হইতে কার্যকর হইবে।’

প্রসঙ্গত, জাতীয় সঞ্চয় স্কিম অনলাইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের আওতায় গত ১ জুলাই থেকে সারা দেশে সঞ্চয়পত্র বিক্রি কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক, বাণিজ্যিক ব্যাংক, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর বা ডাকঘর যেখান থেকেই ক্রেতা সঞ্চয়পত্র কিনুক না কেন, সব তথ্য নির্দিষ্ট একটি ডাটাবেজে জমা হচ্ছে। বিনিয়োগের পরিমাণ এক লাখ টাকার বেশি হলে ক্রেতাকে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) প্রদান করা হয়। এছাড়া সব ধরনের লেনদেন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে করা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে সঞ্চয়পত্রে কালো টাকার বিনিয়োগ অনেকটা কমে এসেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads