• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯

বলিউড

‘খ্যাতি অনেকটা পদ্মপাতায় জলের মতো’

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১৭ নভেম্বর ২০১৯

কোরিয়ান ছবির রিমেক বলিউডে এখন বেশ হিট। ২০১১-য় মুক্তি পাওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ক্রাইম থ্রিলার ‘ব্লাইন্ড’-এর হিন্দি রিমেকে এ বার দেখা যাবে সোনম কাপুরকে। ছবিতে সোনমের চরিত্রটি দৃষ্টিহীন। ছবিটির ক্রিয়েটিভ প্রোডিউসার সুজয় ঘোষ। পরিচালনা করবেন সুজয়ের বন্ধু সোম মাখিজা। বলা হচ্ছে, এটি একটি ‘ফিমেল-হিরো স্টোরি’। অ্যাকশন ও হরর ছবিতে‌ সোনম এখনো অবধি কাজ করেননি। সুজয়ের চোখেও সোনম এই চরিত্রের জন্য উপযুক্ত।

প্রসঙ্গত, সুজয় পরিচালিত স্প্যানিশ থ্রিলার ‘দি ইনভিজিবল গেস্ট’-এর হিন্দি রিমেক ‘বদলা’ বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করেছিল। ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে। তাই কোরীয় থ্রিলারে সুজয়ের আগ্রহ থাকাই স্বাভাবিক। দুলকির সালমানের সঙ্গে সোনমের ছবি ‘দ্য জরোয়া ফ্যাক্টর’ একেবারেই চলেনি। অন্য ধরনের চরিত্রে তিনি কতটা ফুটে ওঠেন, সেটাই এখন দেখার।

ছোট থেকেই বইয়ের নেশায় বুঁদ বলিউড অভিনেত্রী সোনম কাপুর আহুজা। বলিউডের ঝলমলে জগতে বিচরণ করেও বইয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব এতটুকু কমেনি তার। এবার জানা গেল, এই সুন্দর অভ্যাসটি তৈরির পেছনে সব কৃতিত্বই তার মায়ের। সম্প্রতি এক বক্তৃতায় এ তথ্য জানালেন সোনম কাপুর।

সোনমকে শৈশব থেকেই নানান ধরনের বই পড়ার জন্য উৎসাহিত করতেন তার মা। তাই আজও একটু সুযোগ পেলে নিজের প্রিয় বইটা বেছে নিয়ে পড়তে শুরু করে দেন সোনম। সম্প্রতি তিনি ‘শারজাহ ইন্টারন্যাশনাল বুক ফেস্টিভ্যাল’-এ অংশগ্রহণ করেন। বই নিয়ে এই উৎসবটির আলোচনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তিনি। এই বলিউড নায়িকা উৎসব মঞ্চে বই ও সৃজনশীলতার ওপর তার মতামত জানান। নিজের বই পড়ার অভ্যাস তৈরি নিয়ে এই বলিউড অভিনেত্রী বলেন, ‘ছোটবেলায় মা আমাকে বই পড়ে শোনাতেন। আর তার জন্যই আমার বইয়ের প্রতি নেশা লেগে গেছে। বইয়ের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা। এর পেছনের সব কৃতিত্ব আমি আমার মাকে দিতে চাই। তিনি নানা ধরনের বই সংগ্রহ করতে আমাকে সাহায্য করেছেন।’

সোনম কাপুরকে নিয়ে বাবা অনিল কাপুরের অনেক গর্ব। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই তারকা বিশ্ব ফ্যাশন আইকনদের একজন। ২০০৭ সালের ‘সাওয়ারিয়া’ থেকে শুরু করে ‘দিল্লি সিক্স’, ‘রানঝানা’, ‘নীরজা’, ‘আয়েশা’, ‘খুবসুরত’, ‘সঞ্জু’র এক যুগে তার ঝুলিতে সফল ছবির সংখ্যা কম নয়।

তবে এক যুগে ২১টি ছবিতে অভিনয় করা এই শিল্পীকে সবচেয়ে বেশি পুরস্কার আর সম্মাননা এনে দিয়েছে ‘নীরজা’। ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ছবিটি মুক্তির পর সাড়া জাগায় চলচ্চিত্র মহলে। মাত্র ২০ কোটি রুপি খরচ করে বানানো ছবিটি বক্স অফিসে তুলে আনে ১৩৫ কোটি ৫২ লাখ রুপি। দুটি জাতীয় পুরস্কার ছাড়াও জড়ো করে অসংখ্য দেশি আর আন্তর্জাতিক পুরস্কার। ৬২তম ফিল্মফেয়ারেও ‘নীরজা’ পেয়েছিল ছয়টি পুরস্কার। ছবিটি বিমানবালা নীরজা ভানোতের ওপর নির্মিত।

এক যুগের ফিল্মি সফরে সফলতা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে সোনম বলেন, ‘আমার কাছে দুটিই অবাস্তব। দুটির কোনো স্থায়িত্ব নেই জীবনে। আর কী যেন বললেন, খ্যাতি? খ্যাতি তো আরও বেশি অবাস্তব। অনেকটা পদ্মপাতায় জলের মতো।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads