• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
নতুন বছরে পর্দায় একসঙ্গে অজয়-কাজল

ফাইল ছবি

বলিউড

নতুন বছরে পর্দায় একসঙ্গে অজয়-কাজল

  • বিনোদন ডেস্ক
  • প্রকাশিত ০৩ জানুয়ারি ২০২০

বারোটি বছর। কম সময় নয়। এ একযুগে বাস্তব জীবনে দুজন দুজনের কাছে থাকলেও পর্দায় তাদের প্রেম-রোমান্স থেকে দর্শকরা বঞ্চিত ছিলেন অনেকদিন। অবশেষে নতুন বছরে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফিরছেন তারা। বলছি বলিউডের এভারকিউট কাপল অজয়-কাজলের কথা।

আগামী ১০ জানুয়ারি মুক্তি পাচ্ছে ঐতিহাসিক কাহিনী নিয়ে নির্মিত ‘তানাজি : দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’। ঐতিহাসিক পটভূমিকার এ ছবিতে এবার অজয় ও কাজল পর্দাতেও স্বামী-স্ত্রী। এর আগে ২০০৮ সালে রুপালি পর্দায় তাদের একসঙ্গে শেষ দেখা যায় ‘ইউ মি অউর হাম’ সিনেমায়।

‘তানাজি : দ্য আনসাং ওয়ারিয়র’ ছবিতে ফের নতুন রূপে কাজল। এবার তিনি সাবিত্রীবাঈ মালুসরে। আসন্ন ঐতিহাসিক ছবিতে ইতোমধ্যে তার লুক প্রকাশিত হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের আগামী ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন কাজল। সেখানেই খাঁটি মারাঠি সাজে দেখা যাচ্ছে তনুজাকন্যাকে। কাজল সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবির পোস্টার শেয়ার করেছেন। সঙ্গে লিখেছেন, ‘আমি আপনাকে পরাজিত হতে দেব না’। অর্ধাঙ্গিনীর পোস্টের সঙ্গে মিলিয়ে পোস্ট করেছেন অজয়ও। নিজের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘সাবিত্রী মালুসরে-তানাজির সাহসের ভরসা এবং তার শক্তি’। ছত্রপতি শিবাজির বীর সেনাপতি তানাজি মালুসরের ভূমিকায় দেখা যাবে অজয়কে।

এই সিনেমার মাধ্যমে তানাজিকে প্রথম দেখা যাবে সেলুলয়েডে বন্দি হতে। তিনি ছিলেন মারাঠা সাম্রাজ্যের অন্যতম মূল কান্ডারি। শিবাজির নির্দেশে তিনি নেতা হিসেবে ছিলেন সিংহগড় অভিযানের। পুণের এই গুরুত্বপূর্ণ দুর্গ ১৬৭০ খ্রিস্টাব্দে মুঘলদের দখলে ছিল। গড়ের দায়িত্বে ছিলেন রাজপুত আধিকারিক উদয়ভান রাঠোর। তাকে নিযুক্ত করেছিলেন মুঘল সেনাপতি প্রথম জয়সিংহ।

রাজপুত-মুঘলের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে উদ্ধার হয় সিংহগড়। মুঘল অধিকার থেকে হাতবদল হয়ে দুর্গ আসে মারাঠাদের আধিপত্যে। কিন্তু উদয়ভানের সঙ্গে সম্মুখসমরে প্রাণ হারায় তানাজি। ছবিতে সাইফ আলি খান অভিনয় করছেন উদয়ভানের চরিত্রে। সিনেমাটির পোস্টার ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ঝড় তুলেছে। আলোড়ন সৃষ্টি করেছে এই তিন শিল্পীর নতুন লুক।

ছবিটির জন্য বেশ মুখিয়ে আছেন অজয় এবং কাজল। কারণ এবারই তারা দুজন এবং ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটের উপর নির্মিত কোনো ছবিতে অভিনয় করলেন তারা। এ প্রসঙ্গে কাজল বলেন, সত্যি আমার অপেক্ষার বাঁধ ভেঙে যাচ্ছে। এ ছবিটি আমার জীবনের স্মরণীয় একটি ছবি। এরকম চরিত্রে কখনো অভিনয় করিনি। ছবির গল্প, চিত্রনাট্য এবং লোকেশন-সবকিছুতেই ভিন্নতার ছোঁয়া। আশা করি, নতুন বছরের শুরুতেই আমার ছবিটি দর্শকের কাছে অন্যরকম এক উপহার হয়ে থাকবে।’

অজয় দেবগন ও কাজলের জুটি যতটা সফল ছিল, ততটাই সুন্দর তাদের দাম্পত্য জীবন। ১৯৯৯ সালে বিয়ে করেন দুজনে। এই বছর বিয়ের ২০ বছর পূর্ণ হয়েছে। কিছুদিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে অজয় দেবগন বলেন, তাদের সফল দাম্পত্যের রহস্য হলো এটাই যে, দুজনে একটুও বদলাননি। দুজনেই দুজনের মতো থেকেছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads