• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি: সংরক্ষিত

বাজেট

আগামী অর্থবছরে এডিপি ১ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা

  • জাহিদুল ইসলাম
  • প্রকাশিত ০৪ মে ২০১৮

স্থানীয় সরকার, বিদ্যুৎ ও সড়ক খাতকে প্রাধান্য দিয়ে আগামী অর্থবছরে (২০১৮-১৯) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে সরকার। নতুন এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ লাখ ৮০ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। এডিপি বাস্তবায়নে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্প সহায়তা হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে সংগ্রহ করা হবে ৬০ হাজার কোটি টাকা। আর অবশিষ্ট ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় নতুন এডিপি চূড়ান্ত করা হয়। জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় অনুমোদনের জন্য প্রস্তাবটি উপস্থাপন করা হবে। ৮ মে মঙ্গলবার রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভা অনুষ্ঠিত হবে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছর ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৪ কোটি ৮৩ লাখ টাকার এডিপি প্রণয়ন করা হয়েছিল। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বাড়ছে ১৬ হাজার ৭৮৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। এ হিসাবে এডিপির আকার বাড়ানো হচ্ছে ১০ দশমিক ২৩ শতাংশ। অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে চলতি অর্থবছর সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) আকার ১ লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৪ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। আরএডিপির তুলনায় নতুন এডিপিতে বরাদ্দ বাড়ছে ২৩ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। শতকরা হিসাবে বরাদ্দ বাড়ার হার ১৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের আরএডিপিতে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ আছে ৯৬ হাজার ৩৩১ কোটি টাকা। আগামী অর্থবছর এ খাতে বরাদ্দ দেওয়া হবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এ হিসাবে সরকারের তহবিলের বরাদ্দ ১৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বাড়ছে। শতকরা হিসাবে সরকারি তহবিলের বরাদ্দ বাড়ার হার ১৭ দশমিক ৩০ ভাগ।

বিদেশি সহায়তার বরাদ্দ ৫২ হাজার ৫০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ধরা হচ্ছে ৬০ হাজার কোটি টাকা। চলতি বছরের তুলনায় আগামী অর্থবছর ৭ হাজার ৯৫০ কোটি টাকার বাড়তি বিদেশি সহায়তা চায় সরকার। শতকরা হিসাবে এ খাতে প্রবৃদ্ধি ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ২৭ শতাংশ। তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার বরাদ্দ ৯ হাজার ২১৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা থেকে ১ হাজার ৩৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা কমিয়ে ধরা হচ্ছে ৭ হাজার ৮৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, জাতীয় নির্বাচনের কারণে আগামী অর্থবছরের এডিপিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে গুরুত্ব দেবে সরকার। ফলে এ খাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রক্রিয়াধীন এডিপিতে স্থানীয় সরকার বিভাগ বরাদ্দ পাচ্ছে ২৩ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা। গত অর্থবছরের মতো এবারো দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুৎ খাতে। চলমান প্রকল্প বাস্তবায়নে আগামী অর্থবছর বিদ্যুৎ বিভাগকে ২২ হাজার ৮৯২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে। বেশ কয়েকটি বড় প্রকল্প চলমান থাকায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পাবে ২০ হাজার ৮১৭ কোটি টাকা।

তবে নতুন এডিপিতে খুব বেশি নতুন প্রকল্প অন্তর্ভুক্ত হচ্ছে না। বড় আকারের চলমান প্রকল্পগুলো নির্বাচনের আগে দৃশ্যমান করতে নতুন এডিপিতে দেওয়া হবে পর্যাপ্ত অর্থ। পদ্মা সেতু, পদ্মা সেতুতে রেল সংযোগ, মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, মহেশখালী কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র, কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন, পায়রা সমুদ্রবন্দর প্রকল্পে চাহিদা অনুযায়ী বরাদ্দ দেওয়া হবে ।

এদিকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসের মাথায় এডিপি বাস্তবায়নে মোট ৭১ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। বরাদ্দের ৪৫ দশমিক ৬৫ শতাংশ অর্থ ব্যয় হয়েছে প্রথম তিন প্রান্তিকে। এ সময় সরকারি তহবিল থেকে ৩৮ হাজার ৮৬৮ কোটি টাকা, বৈদেশিক সহায়তা হিসেবে ২৯ হাজার ১১৫ কোটি টাকা ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থার তহবিল থেকে ব্যয় হয়েছে ৩ হাজার ৯৫৭ কোটি টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads