বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণি আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। বুধবার সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের নিজ বাড়িতে মুক্তামণির মৃত্যু হয়।
মুক্তামণির বাবা ইব্রাহিম হোসেন জানান, বুধবার সকালে মুক্তামণি তাকে কাছে ডাকেন। তার ভালো লাগছে না বলে জানায়। সাতটা ৫০ মিনিটের দিকে সে পানি চায় তার কাছে। এরপর পানি পান করে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
সাতক্ষীরার কামারবাইশালের ইব্রাহিম হোসেনের দুই যমজ মেয়ে হীরামণি ও মুক্তামণি। দেড় বছর বয়সে মুক্তামণির সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। কিন্তু পরে তা ফুলে কোলবালিশের মতো হয়ে যায়। এতে বিছানায় বন্দী হয়ে পড়ে মুক্তামণি।
২০১৭ সালের জুলাই মাসে বিরল রোগে আক্রান্ত সাতক্ষীরার মুক্তামণিকে নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদন প্রকাশের পর এ শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবারকল্যাণ বিভাগের সচিব মো. সিরাজুল ইসলাম। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তামণির চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নেন।
রে ১১ জুলাই ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় মুক্তামনিকে। তার চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড গঠনসহ সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের সঙ্গেও যোগাযোগ করে ঢামেক কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ছয় মাস চিকিৎসার পর হাতের অবস্থা কিছুটা ভালো হলে তাকে এক মাসের জন্য গ্রামের বাড়িতে আসার অনুমতি দেওয়া হয়।