• শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪২৯
শেরপুরে পুলিশসহ আহত ১০

শেরপুরের তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদরাসার কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

মাদরাসার কমিটি গঠন নিয়ে সংঘর্ষ

শেরপুরে পুলিশসহ আহত ১০

  • শেরপুর প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জুলাই ২০১৮

শেরপুরের তেরাবাজার জামিয়া সিদ্দিকীয়া মাদরাসার কমিটি গঠন নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে তিন পুলিশসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় এক পক্ষের হাতে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মিনহাজ উদ্দিন লাঞ্ছিত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। গতকাল শনিবার দুপুরে শহরের মুন্সী বাজার এলাকার মাদরাসা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে পুলিশ কনস্টেবল সমাপ্ত নকরেক (২৭), মীরগঞ্জ এলাকার হাসান (২৫) ও গাজীরখামার এলাকার মনিরকে (২৫) জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, দীর্ঘদিন ধরে মাদরাসার বর্তমান কমিটির শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি ক্ষমতা কুক্ষিগত করে সেখানে বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের লোকজনকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। জামায়াত শিবিরের ওইসব লোক এ মাদরাসা থেকে সরকারবিরোধী কর্মকাণ্ড করছেন। এর প্রতিবাদ করায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীরের ছোট ভাই ইয়াকুব আলী গতকাল শনিবার তাকে মাদরাসা প্রাঙ্গণে লাঞ্ছিত করেন। এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান বলেন, তার ছোট ভাই তাকে (মিনহাজ উদ্দিন) বা অন্য কাউকে লাঞ্ছিত করেননি।

অন্যদিকে মাদরাসা কমিটির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ বলেন, এ মাদরাসা একটি অরাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। দল-মত নির্বিশেষে সবার সাহায্য-সহযোগিতায় এটি পরিচালনা করা হয়। এখানে ব্যক্তিবিশেষ বা কোনো দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড করার কোনো সুযোগ নেই। এ ছাড়া কমিটি গঠনের সভা মুলতবি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

পুলিশ সুপার কাজী আশরাফুল আজীম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ৫ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাস ও ৬২ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়া হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads