• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন রোধে অনিয়ম ও পাউবি’র গাফিলতি

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন রোধে কাজ করছে পাউবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের ভাঙ্গন রোধে অনিয়ম ও পাউবি’র গাফিলতি

  • মো. মহিউদ্দিন আল আজাদ
  • প্রকাশিত ১৪ জুলাই ২০১৮

কয়েক দিন ধরে চাঁদপুরের মেঘনায় পানি বৃদ্ধির ফলে চাঁদপুর শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় ১ কিলোমিটার নদী গর্ভে বিলিন হয়ে পড়েছে। শুক্রবার থেকে এ পরিস্থিতি আরো চরম আকার ধারণ করেছে। স্থানীয় জনগণ ও ব্যবসায়ীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের গাফিলতি এবং কাজের অনিয়মকেই দুষছেন। তাদের অভিযোগ লোক দেখানো কাজ করছে পাউবি।

ভাঙ্গনে নতুন করে পুরাণবাজার পশ্চিম শ্রীরামদী এলাকার নদীভাঙ্গন পরিধি আরো বাড়ছে। হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্সে বিপরীত মরণ সাহার বাড়ি সংলগ্ন অষ্টমী সংলগ্ন স্থান দিয়ে নদী ভাংছে। সেখান দিয়ে শহর রক্ষা বাঁধের প্লেসিং ও ড্যাম্পিং করা অনেক বালুর জিও ব্যাগ এবং ব্লক নদীতে দেবে গেছে।

স্থানিয় বাসিন্দা লক্ষ্মণ দাস (৫০) জানান, ঘূর্ণিপাকে এখানকার অনেক ব্লকগুলো সরে গেছে এবং নদীতে ঠাঁই পাওয়া যাচ্ছে না।

শুক্রবার বিকেলে দুপুরে সরজমিনে ভাঙ্গন স্থান পর্যবেক্ষণ ও এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, হরিসভার দক্ষিণে মাস্টার বাড়ি, সহদেব সাহার বাড়ি ও গৌরাঙ্গ সাহার বাড়ি এই তিন বাড়ির পেছনে শহর রক্ষার আরসিসির যে বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। সেখান থেকে নদী অংশের কয়েক সারির ব্লকবাঁধ বিলীন হয়ে গেছে। উপরের অংশে ব্লকগুলো আস্তে আস্তে নিচের দিকে তলিয়ে যাচ্ছে। নদীতে পানির তীব্র ঘুর্ণয়ণ বইছে। মনে হবে শহরের ওই এলাকাটি মেঘনায় ভাসছে। সেই স্থান দিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড নতুনভাবে আবার ব্লক ফেলা শুরু করেছে।

নদী ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করায় পুরাণবাজার এলাকায় ব্যাপক নদীভাঙ্গনের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। হরিসভা রাস্তা ভেঙ্গে গেলে মধ্য শ্রীরামদী ও পশ্চিম শ্রীরামদী এ দুটি এলাকার অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে।

পৌর ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়ের মিজি জানান, হরিসভা মোড় থেকে প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নূর মোহাম্মদ বকাউলের বাড়ি পর্যন্ত প্রায় আড়াইশ’ মিটার এলাকার ভাঙ্গন পরিস্থিতি খুবই খারাপ। এখান দিয়ে পানির তিব্র ঘূর্ণয়ন কেবল পাক খাচ্ছে এবং নদীতে প্রচুর গভীর। আমরা বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। সুজিত রায় নন্দী নিজে এসে দেখে গেছেন। ডাঃ দীপু মনি এমপি পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে ভাঙ্গনরোধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে কথা বলেছেন।

চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জানান, বরাদ্দ অপ্রতুল থাকায় আমরা সংরক্ষণ কাজ করাতে পারছি না। জরুরি ভিত্তিতে সাখুয়ায় স্টকে থাকা আমাদের ব্লকের কিছু অংশ এনে আপাতত ভাঙ্গন ঠেকাতে ব্লক ফেলার ব্যবস্থা করেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের জরুরি ওই কাজের সহকারী হুমায়ুন কবির জানান, গত দু’দিনে তিন নৌকা অর্থাৎ ১শ’ ২০টি করে ৩শ’ ৬০টি ব্লক ভাঙ্গন স্থানে ফেলা হয়েছে। আরো ব্লক ফেলানোর অব্যাহত রয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার সকালে হরিসভা মাস্টার বাড়ি ও সহদেব সাহার বাড়ি সংলগ্ন শহর রক্ষা বাঁধের প্রায় একশ’ মিটার এলাকা জুড়ে ব্লকবাঁধ মেঘনা নদীতে ধসে পড়তে দেখে মানুষজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। আবারো নদী ভাঙছে এই খবর চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads