• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সড়ক অবরোধ গাড়ি ভাঙচুর

গাছা ফেলে সড়ক অবরোধ

সংরক্ষিত ছবি

সারা দেশ

সড়ক অবরোধ গাড়ি ভাঙচুর

ককটেলে ৩ পুলিশ আহত

  • রামগঞ্জ (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮

মুখোশধারীরা গাছের গুঁড়ি ও বালুর বস্তা ফেলে এবং টায়ারে আগুন দিয়ে রামগঞ্জ-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করে ৩টি বালুর ট্রাক ভাঙচুর করেছে। গতকাল সোমবার ভোরে বালুয়া চৌমুহনী বাজার থেকে যুগীবাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত তাণ্ডব চালায় দুর্বৃত্তরা।

খবর পেয়ে পুলিশ এলে মুখোশধারীরা ককলেট নিক্ষেপ করলে পুলিশও ফাঁকা গুলি চালায়। ককটেল বিস্ফোরণে রামগঞ্জ থানার এএসআই শরীফুল ইসলাম, কনস্টেবল এমরান হোসেন ও আবিদ গুরুতর আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় মামলা করেছে পুলিশ। সকালে সড়ক অবরোধ ও পুলিশের ওপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

জানা যায়, উপজেলার ভাদুর, দরবেশপুর ইউপি ও পৌর দরবেশপুর-জগৎপুর গ্রাম থেকে মুখোশ পরা দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেলে করে ভোর ৫টার দিকে এসে বালুয়া চৌমুহনী বাজার থেকে যুগীবাড়ি ব্রিজ পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে রাখে। এ সময় গাছের গুঁড়ি সরিয়ে ৩টি বালুর ট্রাক যাওয়ার চেষ্টা করলে মুখোশধারীরা ট্রাকগুলো ভাঙচুর করে।

রামগঞ্জ থানার ওসি তোতা মিয়া বলেন, ‘মুখোশধারীরা সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে সড়ক অবরোধ, ট্রাক ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর ককটেল নিক্ষেপ করলে পুলিশ ৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সক্ষম হয়। অপরাধীদের শনাক্ত করে মামলা করা হয়েছে। তবে গ্রেফতারের স্বার্থে নাম প্রকাশ করা যাচ্ছে না।’

উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাচ্চু জানান, এর আগে পৌরসভার বালুয়া চৌমুহনী বাজারে পৌর ৯নং ওয়ার্ড (পৌর দরবেশপুর-জগৎপুর) বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন, উত্তর দরবেশপুর গ্রামের নূর হোসেন মনাসহ বিএনপি-জামায়াতের নেতারা বৈঠক করে। ঘটনার পর তারা সবাই নিরুদ্দেশ রয়েছে। এ ছাড়া ভোর ৫টা থেকে ৬টা পর্যন্ত অবরোধ চলাকালে উপজেলার কোথাও বিদ্যুৎ ছিল না। খবর পেয়ে উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দ্রুত ছুটে আসার আগেই মুখোশধারীরা মোটরসাইকেলে পালিয়ে যায়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads