• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
লালমনিরহাটে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ২৫

লালমনিরহাটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আহত হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

লালমনিরহাটে দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ আহত ২৫

  • লালমনিরহাট প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১০ অক্টোবর ২০১৮

লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলায় সীমান্তবর্তী লতাবর এলাকায় দু‘পক্ষের সংঘর্ষে ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতাল ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, কালীগঞ্জের লতবার এলাকায় সোয়েবুর রহমানের সাথে প্রতিবেশী কাজী শরিফুল গং এর মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলে আসছিল। কয়েক বছর আগে সোয়েবের বাবা জাহাঙ্গীর প্রতিপক্ষের হাতে খুন হন। ওই ঘটনায় একটি হত্যা মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।

সর্বশেষ গত ঈদূল আযহার কিছুদিন আগেও দু‘পক্ষের মধ্যে সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটানা নিয়েও দু‘পক্ষই একেঅপরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কিছুদিন থেকে প্রতিপক্ষের ভয়ে নিজ বাড়িতে যেতে পারছিলনা সোয়েবুর রহমান। সে কারণে সোয়েব তার শ্বশুর ও হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যানের মহির উদ্দিনের স্বরণাপন্ন হন।

এই অবস্থায় বুধবার বিকেল ৫ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন অন্তত ২০ জন লোক নিয়ে প্রায় ৮ কিলোমিটার অদূরের জামাইয়ের বাড়িতে যান। এসময় চেয়ারম্যানের লোকজনের সাথে লতাবর গ্রামের শরিফুল গং এর সংঘর্ষ বাঁধে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২৫ জন আহত হয়। আহতদের কালীগঞ্জ ও হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে আশংকজন অবস্থায় ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

আহতরা হলেন, হাতীবান্ধার ভেলাগুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন, নুর আলম, সাহিদুল, ফুয়াত হাসান, সফিকুল ইসলাম, ওয়ারেজ আলী, সাজ্জাদ ইকবাল, সোয়েব মেজবা, স্বাদ রেজাওয়ান, আজিজুল ইসলাম, কুদরত, সুরুজ আলী, কাজীমুদ্দিন, কালাম, আশরাফুল, রতন, কালীগঞ্জের লতাবর গ্রামের রেজাউল করিম, আব্দুল বাতেন, আক্কাস আলী, আব্দুল কাইয়ুম, মিঠুন ও মিলন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে লতাবর গ্রামের কাজী শরিফুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন ও তার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা করায় এ সংঘর্ষেও ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে আহত ইউপি চেয়ারম্যান মহির উদ্দিন জানান, বুধবার বিকেলে তিনি তার জামাইয়ের বাড়িতে গেলে তিনি হামলার শিকার হন।

কালীগঞ্জ থানার ওসি মকবুল হোসেন বলেন, সংষর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads