• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
আড়াইশ বছরের ঐতিহ্য আমুয়ার দশোহরা উৎসব

বরগুনায় আমুলিয়া-কাঁঠালিয়ার সীমান্তবর্তী আমুয়ার হালতা নদীতে দশোহারা উৎসবে ভক্তরা

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

আড়াইশ বছরের ঐতিহ্য আমুয়ার দশোহরা উৎসব

  • নির্ঝর কান্তি বিশ্বাস ননী, বামনা (বরগুনা)
  • প্রকাশিত ২১ অক্টোবর ২০১৮

বরগুনার বামনা ও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ার সীমান্তবর্তী আমুয়ার হলতা নদীর মোহনায় দু’দিনব্যাপী দশোহরা উৎসবে মেতে উঠেছিল কয়েক হাজার মানুষ। শুক্র ও গতকাল শনিবার পর্যন্ত এ উৎসব হয়। প্রতিবছরের মতো এবারো দশোহরা উৎসবে উপকূলীয় এলাকার বিপুলসংখ্যক মানুষ সমবেত হন। তবে পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে দশোহরা উৎসব তার ঐতিহ্য হারাতে বসেছে।

শুক্রবার বিকালে আমুয়া নদীর মোহনায় সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দূর-দূরান্ত থেকে আগত অগণিত মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবস্থল পরিণত হয়েছে বিশাল জনসমুদ্রে। শত শত যন্ত্রচালিত ট্রলার আর নৌকায় চড়ে নাচ গানের মধ্য দিয়ে কয়েক হাজার মানুষ পালন করে ঐতিহ্যবাহী দশোহরা উৎসব। এ সময় উপকূলীয় এলাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে ২৫টি দুর্গা প্রতিমা নিয়ে আসা হয়। প্রতিমা বহনকারী ট্রলার নদী মোহনার চারপাশে ঘুরে ঘুরে ঢাকঢোল পিটিয়ে আনন্দ উল্লাসের মধ্য দিয়ে প্রতিমা বিসর্জন দেয়।

জানা গেছে, প্রায় আড়াই শত বছর আগে তৎকালীন জমিদার রায় বিহারী লাল মিত্র বাহাদুর আমুয়া বন্দরে এ উৎসবের সূচনা করেন। সেই থেকে আজো প্রতিবছর দুর্গাপূজার দশমী তিথিতে এ নদী মোহনায় দশোহরা উৎসব পালিত হয়ে আসছে। এ উৎসবকে ঘিরে নৌকাবাইচ কবিগান জারি গান, পুতুল নাচ অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া নদী মোহনার চারপাশ জুড়ে মেলা বসে। বিভিন্ন অঞ্চলের দুর্গা প্রতিমা নদীর মোহনায় বিসর্জন দেওয়ার মধ্য দিয়ে উৎসবের শেষ হয়।

আমুয়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রাখাল চন্দ্র কর্মকার জানান, সরকারি-বেসরকারি কোনো সহায়তা না থাকায় আড়াই শত বছরের ঐতিহ্যবাহী এ উৎসবটি ম্লান হতে চলেছে।

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নারায়ণ কাঞ্জি লাল বলেন, সপ্তদশ শতকের শেষ দিকে শুরুর পর থেকে আজ অবধি এ উৎসব চলে আসছে। উপকূলীয় খালগুলোর নাব্য হ্রাস ও খালে বাঁধ দেওয়ায় উৎসবে নৌপথে আগের মতো প্রতিমা আসতে না পারার কারণে এ উৎসবটি অনেক ম্লান হতে বসেছে।

বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সাইতুল ইসলাম লিটু মৃধা বলেন, আমুয়ার দশোহরা উৎসব শিশুকাল থেকেই দেখে আসছি। উপকূলীয় এলাকার হিন্দু মুসলমানদের মিলন মেলা হিসেবে এ উৎসবকে দেখা হয়।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads