• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
পার্বতীপুরে মিডওয়াইফারী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের মেলা

পার্বতীপুরে মিডওয়াইফারী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের মেলা পরিদর্শন করেন পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

পার্বতীপুরে মিডওয়াইফারী শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের মেলা

  • সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৩ নভেম্বর ২০১৮

মিডওয়াইফ মানে ধাত্রী নয়, এর জন্য উচ্চ শিক্ষা নিতে হয়। সেই সাথে ‘পেশাদার মিডওয়াইফ হোন, সম্মানজনক ক্যারিয়ার গড়ুন’। দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ল্যাম্ব হাসপাতালের মিডওয়াইফারী প্রজেক্ট আয়োজিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে ডেভেলপিং মিডওয়াইভস নার্সিং কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক রবার্ট মৃন্ময় খান লকেট এসব কথা বলেন।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগিতায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে বিদেশী মিশনারীদের দ্বারা পরিচালিত ল্যাম্ব হাসপাতাল চত্ত্বরে ‘ডেভেলপিং মিডওয়াইফভস প্রজেক্ট-২’ আয়োজনে এ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ল্যাম্ব হাসপাতাল নার্সিং কেন্দ্রের পরিচালক বুলবুলি মল্লিক। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা। অন্যান্যদের মধ্যে ল্যাম্ব প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের পরিচালক স্মিতা হাসদা, ল্যাম্ব হাসপাতালের মেডিকেল পরিচালক ডাঃ আনতিয়া, জনসংযোগ কর্মকর্তা এনোস সরেন ও ডাঃ বিএ এম্বু বক্তব্য রাখেন। এছাড়াও মিডওয়াইফ প্রশিক্ষনের প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থী দুলালী, ৪র্থ ব্যাচের লাবনী ও ৫ম ব্যাচের প্রশিক্ষনার্থী রওজাতুল বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বলেন, এক সময় একোর্সে শিক্ষার্থী পাওয়া যেত না। কিন্তু সময় বদলেছে, এখন প্রচুর শিক্ষার্থী এ পেশা গ্রহণ করছেন। তাছাড়া প্রশিক্ষণ নিয়ে কেউ আর বসে থাকছে না।

পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পার্বতীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেহানুল হক দিনব্যাপি আয়োজিত অনুষ্ঠানের স্টলসমুহ পরিদর্শন করেন। এসময় গর্ভকালীন মায়ের যত্ন, সেবা, ডেলিভারী শেষে মায়ের স্বাস্থ্য, শিশু পরিচর্যা, পরিচ্ছন্ন ও সচেতন থাকার অতীব প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো তার সামনে তুলে ধরেন প্রশিক্ষনার্থীরা।

ল্যাম্ব হাসপাতাল ডেভেলপিং মিডওয়াইভস নার্সিং কেন্দ্র জানায়, তিন বছর মেয়াদী চলতি ব্যাচে ৬২ জন শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করছে এখানে। এর আগে প্রথম ব্যাচে ৩০ জন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। তার মধ্যে ২৬ জন সরকারী হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। ২য় ব্যাচের ২৯ জন এখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন।

ল্যাম্ব হাসপাতালের জনসংযোগ কর্মকর্তা এনোস সরেন জানান, সারাদেশে সরকারী ৩৮টি ইন্সটিটিউট ও বেসরকারী ১৭ প্রতিষ্ঠান থেকে ১৬৬৫ জন করে শিক্ষার্থী প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ল্যাম্ব হাসপাতাল অন্যতম।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads