• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নৌ বন্দর ঘিরে স্বপ্ন দেখছে চিলমারীবাসী

চিলমারী নৌবন্দরে মাল বোঝাইয়ের অপেক্ষায় নৌকার সারি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত নৌ বন্দর ঘিরে স্বপ্ন দেখছে চিলমারীবাসী

  • প্রকাশিত ২১ নভেম্বর ২০১৮

কুড়িগ্রাম থেকে, রাশিদুল ইসলাম

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুত ঐতিহ্যবাহী চিলমারী নৌবন্দর আবারো উদ্বোধন হলেও শুরু হয়নি পূর্ণাঙ্গ আনুষ্ঠানিকতা। বন্দরটি চালু হলে বাড়বে কর্মসংস্থান; নিরসন হবে বেকার সমস্যা। সরকারও পাবে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এলাকার উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে দ্রুত বন্দরটির কার্যক্রম শুরু দেখতে চায় স্থানীয়রা।

ভারতের কুচবিহার, আসাম, মেঘালয়, চীন ও মায়ানমার অনেক জাহাজ নোঙ্গর করত চিলমারী বন্দরে। বন্দরের কর্মকর্তারা ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট হিসাবে সিল মারতো। সেই সিল মারা থেকে চিলমারী নামের উৎপত্তি বলে ধারণা করা হয়। নামকরণ নিয়ে আরো কথিত রয়েছে ১৫৮০-১৫৯৩ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কোচবিহারের বিখ্যাত অপরাজেয় সেনাপতি রাজা চিলারায়ের নামানুসারে এবং স্মৃতি স্বরূপ চিলমারী নামকরণ করা হয়েছে। ১৭৬৫ সালে প্রণীত বেনেলের মানচিত্র অনুযায়ী চিলমারী বন্দর ব্রহ্মপুত্র নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত।

এ বন্দরে কাজ করতো প্রায় ৪ থেকে ৫ হাজার মানুষ। অবিভক্ত বাংলার পাট ও পাটজাত পণ্য বেচা-কেনার প্রসিদ্ধ কেন্দ্র প্রাচীন বন্দরটি ১৮৫৬ সালে প্রথম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গনের শিকার হয়। ১৮৫৭ সালে চিলমারী বন্দর স্থানান্তরিত হয় চিলমারী হাট ও গোলার কাছাকাছি। ১৯২৬ সাল থেকে ব্রহ্মপুত্র নদে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দেয়। স্বাধীনতার পর থানাহাটে স্থানান্তর করা হয় উপজেলা অফিস ও আদালত। ৬টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত হলেও এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নই ব্রহ্মপুত্র নদে বিলীন হয়েছে। বাকি ৩টি ইউনিয়ন নদের পশ্চিম তীরে অবস্থিত।

চিলমারীতে প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্রের ডান তীর রক্ষা প্রল্পের কাজ চলছে। ঐতিহ্যবাহী এ বন্দরটিকে চালু হলে একদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, অন্যদিকে সরকার পাবে বিপুল রাজস্ব। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের পরিবহন খরচও অনেক হারে কমবে। বর্তমানে চিলমারী বন্দরে ৫ নং চ্যানেল দিয়ে ভারতে থেকে প্রতি মাসে দু-একটি করে পণ্যবাহী জাহাজ আসে। স্থানীয়দের দাবি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দ্রুত বাস্তবায়ন হোক।

গত বছরের ৭ সেপ্টেম্বর চিলমারীতে এসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরোনো ও ঐতিহ্যবাহী চিলমারী বন্দরকে সচল করে পায়রা বন্দরের সাথে সরাসরি যোগযোগের মাধ্যম করার ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণায় স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে চিলমারীবাসী। অভিজ্ঞ মহলের দাবি, ঐতিহ্যবাহী এ বন্দরটি চালু করলে আমূল পরিবর্তন ঘটবে চিলমারী উপজেলার অর্থনৈতিক অবস্থার। পাশাপাশি বন্দরটিকে ঘিরে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads