• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাংলা চ্যানেলে নতুন রেকর্ড তাহরিনার

বাংলার সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সময় নিয়েছেন ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড

বাংলা চ্যানেলে নতুন রেকর্ড তাহরিনার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক ও টেকনাফ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৪ নভেম্বর ২০১৮

বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিলেন ওপার বাংলার সাঁতারু তাহরিনা নাসরিন। গতকাল শুক্রবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে তিনি টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপের জেটি থেকে সাঁতার শুরু করেন। তাহরিনা সেন্টমার্টিনের জেটিঘাটে সাঁতার শেষ করেন দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে।  ১৬ দশমিক ১ কিলোমিটার সাগর পথ পাড়ি দিতে তিনি সময় নিয়েছেন ৩ ঘণ্টা ৯ মিনিট ৫৮ সেকেন্ড।

সাঁতার শেষে রেফারি তোফাজ্জল হোসেন বাচ্চু জানান, তাহরিনা নাসরিন বাংলা চ্যানেল সাঁতারে মেয়েদের মধ্যে সবচেয়ে কম সময় নিয়ে রেকর্ড গড়েছেন। এর আগে ভারতের রিতু কেডিয়া বাংলা চ্যানেল পাড়ি দিতে সময় নিয়েছিলেন ৩ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। ৩ ঘণ্টা ৮ মিনিট ৭ সেকেন্ড সময়ে সাঁতার শেষ করে বাংলা চ্যানেলে রেকর্ড গড়েছিলেন সাইফুল ইসলাম রাসেল। তাহরিনা ২ মিনিট বেশি সময় নেওয়ায় নারী ও পুরুষদের মধ্যে বাংলা চ্যানেলে দ্রুত সাঁতারের রেকর্ড ধরে রাখতে পেরেছেন রাসেল।

তাহরিনা সেন্টমার্টিন পৌঁছালে আয়োজক প্রতিষ্ঠান এভারেস্ট একাডেমির প্রতিনিধিরা ছাড়াও পর্যটকরা হাততালি দিয়ে অভিনন্দন জানান। সাঁতার পরিচালনাকারী দলের সঙ্গে ছিলেন হেলদি হোমের ডা. মহসীন কবির লিমন। লাইফগার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সিআইপিআরবির সি-সেইফ সুইমিং প্রোগ্রামের লাইফগার্ড কামাল হোসেন। নেভিগেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাফাহ উদ্দিন সিরাজী। এ সময় তাহরিনার বাবা সেখ আফসার আহমেদও উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানান, এর আগে তাহরিনা নাসরিন প্রথম মুসলিম নারী হিসেবে ২০১৫ সালে ১২ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় নিয়ে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেন। এটি ভারতীয় সাঁতারুদের মধ্যে দ্রুততম। তিনি প্রথম ভারতীয় বাঙালি নারী সাঁতারু হিসেবে বাংলা চ্যানেলে এই রেকর্ড গড়তে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। ২৫ বছর বয়সী তাহরিনা প্রথম নারী সাঁতারু হিসেবে বাংলা চ্যানেল ডাবল করারও ইচ্ছা ব্যক্ত করেন। এ প্রতিবেদককে বলেন, ইংলিশ চ্যানেল জয়ের পর তিনি জিব্রাল্টার প্রণালি পাড়ি দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতা শেষ হলেই তিনি বড় এ চ্যালেঞ্জ জয় করতে নামবেন।

সেখ আফসার আহমেদ জানান, ২০১৫ সাল থেকেই তাহরিনা জিব্রাল্টার প্রণালি পাড়ি দিতে চাইছেন। জিব্রাল্টার কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেও স্পেন সরকার ভিসা দিচ্ছে না। আয়োজকরা জানান, কাজী হামিদুল হকের প্রতিষ্ঠান এক্সট্রিম বাংলার পর বাংলা চ্যানেলে সাঁতার আয়োজনে যুক্ত হয়েছে এভারেস্ট একাডেমি, অ্যাডভেঞ্চারসহ আরো অনেক প্রতিষ্ঠান। আর প্রতিবছর এই বিজয়ে নাম লিখিয়েছেন অনেকেই।

বাংলা চ্যানেল ম্যারাথন সাঁতারে ২০১২ সালে যুক্ত হয়েছিলেন নেদারল্যান্ডসের সাঁতারু ইংলিশ চ্যানেল বিজয়ী ভ্যান গুল মিলকো। সে বছর থেকেই বাংলা চ্যানেল সাঁতারের নাম ‘ইন্টারন্যাশনাল ওপেন ওয়াটার লং ডিসটেন্স সুইমিং লিস্ট’ভুক্ত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads