• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র চরে শীতের সবজির সমারোহ

জামালপুর সদর উপজেলার নান্দিনা বাজার থেকে প্রতিদিন জামালপুরের টমেটো যাচ্ছে ঢাকাসহ সারা দেশের বিভিন্ন জেলা শহরে

প্রতিনিধির পাঠানো ছবি

সারা দেশ

জামালপুরে ব্রহ্মপুত্র চরে শীতের সবজির সমারোহ

  • আবদুল লতিফ লায়ন, জামালপুর
  • প্রকাশিত ১০ জানুয়ারি ২০১৯

জামালপুর সদরের নান্দিনা অঞ্চলে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের চরে তর তর করে বেড়ে উঠছে শীতের সবজি। প্রতিটি ক্ষেত পরিচর্যা নিয়ে চাষিরা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। জামালপুর সদর উপজেলার ৩নং লক্ষ্মীরচর, ৪নং তুলশীরচর, ৯নং রানাগাছা ও ২নং শরিফপুর ইউনিয়নের চারিদিকে বর্তমানে আবাদকৃত নানা জাতের সবজি ক্ষেতের সবুজ পাতার বিপুল সমারোহ।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, সবজির ভান্ডার বলে খ্যাত ব্রহ্মপুত্র নদের লক্ষ্মীরচর, রায়েরচর, নামাগজারিয়া, টানগজারিয়া, চরযথার্থপুর, উজানপাড়া, ভাটিপাড়া, রাঙ্গামাটিয়া, রেহাইগজারিয়া, মধ্যরচর, আলগীরচর, চরপাড়া, নামারচর, কান্দারচর, বারুয়ামারি, সুতিনদী এলাকা, তুলশীরচর, চরবাছুরআলগা, মানিকেরচর, বাকচর, হনুমানেরচর, বড়ডৌয়াতলা, ছোটডৌয়াতলা, সাহেবেরচর, টেবিরচর, চরখারচর, গারামারা, টিকরাকান্দি, চরগোবিন্দবাড়ী, বীরগোবিন্দবাড়ী, খড়খড়িয়ার উত্তরাংশ, লোন্দহচর, শরিফপুর, হামিদপুর বানারএলাকা, জয়রামপুর, শরিফপুর, বগালির উত্তরাংশ, নরুন্দি ছাতিয়ানতলা, তারাগঞ্জ, কোচনধরা, মিরাপুর গ্রামে শীতের সবজি আবাদ হয়েছে। এসব সবজির মধ্যে বেগুন, টমেটো, শিম, করলা, লাউ, মরিচ, চিচিঙ্গা, ঢেঁরশ, পটল, ডাটা, মূলা, লাল শাক, পাট শাক, বরবটি, পুঁইশাক, ডাটা শাক রয়েছে।

লক্ষ্মীরচর এলাকার কয়েকজন কৃষক জানান, গত দুইযুগ ধরে চরের তপ্ত বালু মাটিতে আমরা নানাজাতের সবজি আবাদ করছি। 

লক্ষ্মীরচর গ্রামের সামছুল হক বলেন, আমি গত প্রায় ১৮-১৯ বছর ধরে শীতের সবজি আবাদ করছি। এবার আমি দুইবিঘা জমিতে টমেটো ও দেড়বিঘা জমিতে বেগুনের আবাদ করেছি। চারা রোপন, পরিচর্যা থেকে শুরু করে ক্ষেতের টমেটো উঠানো পর্যন্ত একেকজন চাষির মোট খরচ হয় প্রতি বিঘায় ৩০থেকে ৩৫ হাজার টাকা। ফলন ভালো হলে ওই খরচ উঠানোর পরেও প্রায় ৪০থেকে ৪৫হাজার টাকা লাভ হয় বলে তিনি জানিয়েছেন ।

সাধারণত প্রতি বছর পৌষ মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে পুরুদমে ক্ষেতের টমেটো বেগুনসহ নানা সবজি বাজারে বিক্রি শুরু হয়। তখন রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, সিলেটসহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে পাইকাররা নান্দিনা বাজার, শরিফপুর, কালিবাড়ী, নরুন্দি, তারাগঞ্জ, বারুয়ামারী, গজারিয়া বাজারসহ গ্রামের ভিতর ট্রাক নিয়ে ঢুকে পড়েন। প্রায় তিন মাস প্রতিদিন শতাধিক ট্রাকসহ অসংখ্য পিকআপ ভ্যান, ভটভটিসহ বিভিন্ন যানবাহনে করে সবজি রপ্তানি হয়। গত কয়েক বছর ধরে প্যাকেটজাত হয়ে মালয়েশিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে টমেটো রপ্তানি হচ্ছে। 

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক জানিয়েছেন, এবার জমিতে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনীয় সার, বিষ, কীটনাশকের কোন সংকট নেই। তাছাড়া জামালপুর সদরের বিভিন্ন চরে এবার যে পরিমান টমেটো, বেগুনসহ অন্যান্য সবজির আবাদ হয়েছে তাতে আবহাওয়া ভালো থাকলে বাম্পার ফলন ও দাম দুইটোই ভালো পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ওই জেলা কৃষি কর্মকর্তা। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads