• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ভূমি অফিসের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা

  • সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১২ মার্চ ২০১৯

সিরাজগঞ্জের তাড়াশের বারুহাস ইউনিয়নের ভুমি অফিসের জায়গায় গড়ে উঠেছে একাধিক অবৈধ স্থাপনা। অফিসের চতুর্দিকে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করায় ভূমি সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ পড়ছে নানা বিড়ম্বনায়। টাকার বিনিময়ে এসব অবৈধ স্থাপনার পজিশন লেনদেন করা হচ্ছে।

এদিকে ওইসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কার্যকরী কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না ইউনিয়ন ভারপ্রাপ্ত ভূমি অফিসার মুস্তগীর কবির। অভিযোগ রয়েছে অবৈধ দখলকারীদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে বিনা বাঁধায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সুযোগ দিচ্ছেন মুস্তাগীর কবির।

সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৯৬৯ সালে ৪৯৭০ নং দানসূত্র দলিল মূলে ২৯ শতক জমির মালিক হয় ভূমি অফিস। এরপর থেকে ওই দাগে অফিস স্থাপন করে এলাকার মানুষকে ভূমি বিষয়ক বিভিন্ন সেবা দেয়া হচ্ছে।

ধীরে ধীরে ভুমি অফিসের আশপাশের জায়গাগুলোতে অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠতে থাকে। এ অবস্থায় প্রায় তিন বছর আগে সহকারী ইউনিয়ন ভূমি অফিসার মুস্তাগীর কবির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়ে আসেন। তিনি আসার পর থেকে স্থাপনাগুলো উচ্ছেদের পরিবর্তে অফিসের জায়গায় আরও নতুন নতুন অবৈধ স্থাপনা উঠতে থাকে।

এসব বিষয়ে অজ্ঞাত কারণে তিনি কোন বাঁধা না দেয়ায় দখলকারীরা বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং টাকা নিয়ে পজিশন হাতবদল হতে থাকে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, সাবেক মেম্বর আব্দুল হান্নান, খয়বর হোসেন, সাবেক মেম্বর খবির উদ্দিন, আব্দুল মতিন, আব্দুল খালেক, আব্দুল মজিদ, ঠান্ডু, আব্দুর রহমান, জাহাঙ্গীর আলমসহ একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি বর্তমানে ভুমি অফিসের জায়গা দখল করে দোকানপাট ও ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছেন।

অভিযোগ রয়েছে এইসব ব্যক্তিরা নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি ব্যবহার করে এবং ভারপ্রাপ্ত ভূমি অফিসার মুস্তাগীর কবিরকে অর্থের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ দখলের পরও বহাল তবিয়তে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে আসছেন। এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না ভূমি অফিসারসহ স্থানীয় ভূমি প্রশাসন।

এ বিষয়ে দখলকারী খয়বর হোসেন বলেন, একসময় ওই জায়গা ফাকা ছিল। আজগর আলী নামে এক ব্যক্তি সেখানে ঘর তোলে। আমি তার কাছ থেকে পজিশন কিনেছি।
অপর দখলদারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা সরকারি জমির উপর ব্যবসা-বাণিজ্য করছি। আমাদের কোন দলিলপত্র নেই। এখানে টাকা দিয়ে পজিশন হাতবদল হয়।
আব্দুল মজিদ বলেন, আমি ও আমার বাবা রাশেদা বেগম নামে একজনের কাছ থেকে এক শতক জমি কিনে সেখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছি। তবে ওই জমির দাগ নম্বর, খতিয়ান নম্বরসহ জমি সম্পর্কে অন্য কিছুই বলতে পারেননি মজিদ।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন সহকারি ভূমি কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মুস্তাগীর কবির বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে মামলা হয়েছে। উচ্ছেদের আদেশও হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী যে কোন সময়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইফ্ফাত জাহান বলেন, বস্তুল বাজারে ভুমি অফিসের ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। নির্মাণাধীন ভবনের স্থানে যে সকল অবৈধ স্থাপনা ছিল তাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। এর বাইরে যারা অবৈধভাবে দখল করে রয়েছেন সে বিষয়ে পরে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads