• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
সাঁথিয়ায় গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের খানমামুদ পুর মাঠ থেকে তোলা ছবি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

সাঁথিয়ায় গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

  • সাঁথিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৩ মার্চ ২০১৯

পাবনার সাঁথিয়ায় এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি গমের আবাদ হয়েছে। মাঠকে মাঠ জুড়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে গমের শীষ। এবার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কষ্টার্জিত ফসল ঘরে তোলার স্বপ্নে বিভোর এ এলাকার কৃষকরা। তাদের চোখে মুখে বিজয়ের হাসি।কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে না পড়লে উৎপাদিত গম তাদের নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করে আর্থিক লাভবান হতে পারবেন বলে আশা করছেন তারা।

সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর তাদের গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৩ শ’হেক্টর জমি। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গমের আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৮ শ’ ৫০ হেক্টর জমি।

সাঁথিযা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন জানান, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কৃষকরা বেশি গমের আবাদ করায় তারা সন্তুষ্ট। এ বছর গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ১৮ হাজার ৭ শ’ ২০মেট্রিক টন গম উৎপাদন তাদের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। তারা মাঠে সুষ্ঠু তদারকি ও কৃষকদের ভাল গম উৎপাদনে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছেন। উপজেলার ধোপাদহ ইউনিয়নের খানমামুদ পুর গ্রামের কৃষক মাহতাব উদ্দিন প্রাং, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ জানান, এবার গমের আবাদ যথেষ্ট পরিমাণে ভালো হয়েছে। বিঘা প্রতি ১৬ থেকে ১৮ মন ফলন হ্ওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তুলনামূলক ভাবে অন্যান্য খাদ্যশষ্যের চেয়ে গমের দাম বেশি হওয়ায় চাষীরা এখন গমের আবাদ বাড়িয়ে দিয়েছে। মনপ্রতি ১৪থেকে ১৫ শ’ টাকায় গম বিক্রি হয় বলে জানান তারা।

উপজেলার করমজা ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের এনামুল হক জানান, অন্যান্য খাদ্যশষ্যের তুলনায় গমের আবাদ তুলনামূলকভাবে অনেক লাভজনক। তিনি পাঁচ বিঘা গমের আবাদ করেছেন। এ ফসলে পোকামাকড়ের উপদ্রব ও অনেক কম বলে তিনি জানান। সাঁথিয়া উপজেলার গৌরিগ্রাম, কাশিনাথপুর, ক্ষেতুপাড়া, আতাইকুলা, ফেচুয়ান, সোনাতলা, পাটগাড়ি, খিদিরগ্রাম, নাগডেমড়া প্রভৃতি এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে মাঠকে মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে গম ক্ষেত।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads