• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কলমাকান্দায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের বিশুদ্ধ পানির সংকট

নেত্রকোনার কলমাকান্দার সীমান্তবর্তী চেংগ্নী গ্রামের পাঁচ পাড়ার আদিবাসী পরিবারের একমাত্র ভরসা এই তিন চাঁক্কির তৈরী অগভীর কুয়োর পানি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

কলমাকান্দায় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠিদের বিশুদ্ধ পানির সংকট

  • নেত্রকোনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ২৫ এপ্রিল ২০১৯

নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার পাহাড়ি এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি অধ্যুষিত ৬ টি গ্রামে বিশুদ্ধ খাবার পানির সংকট চরম আকার ধারণ করেছে। ফলে ভারত সীমান্তবর্তী ওই এলাকায় দেখা দিয়েছে পানিবাহিত রোগের প্রকোপ।

স্থানীয়রা জানান, কলমাকান্দার লেঙগুরা ইউনিয়নের ওই ছয়টি গ্রাম চেংগ্নী, টেংরাটিলা, ব্যাঙ চাকুয়া, বাতানশ্রী, কনকোনা ও ধলধলায় অসংখ্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি পরিবারে কোন নলকূপ কিংবা বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যাবস্থা নেই। এখানকার অধিকাংশ পরিবার হতদরিদ্র। তারা আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে নিজেদের টাকায় কোন নলকূপ অথবা গভীর কুয়ো স্থাপন করতে পারছেন না। এমনকি তাদেরকে এ ব্যাপারে কেউ সহযোগিতাও দিচ্ছেন না। তারা স্থানীয় বন বিভাগের কয়েকটি অগভীর কুয়োর পানি পান করে জীবন ধারন করছে বছরের পর বছর।

চেংগ্নী গ্রামের বয়োবৃদ্ধ গিজিয়ন চিসিম (৬৫) জানান, অসংখ্য বার স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ধরনা দিয়েও তারা বিশুদ্ধ খাবার পানির ব্যাবস্থা করতে পারেনি। ফলে বাধ্য হয়ে দুষিত পানি পান করছে তারা। তাই প্রতিনিয়ত ডায়রিয়া, চর্মরোগসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত করছে তাদের।

বাতানশ্রী গ্রামের ফাতেমা হাগিদক (৬৫) আক্ষেপ করে বলেন, এখানকার দু’একটি সচ্ছল পরিবারে নলকূপ থাকলেও সেগুলোকে প্রাচীর বেষ্ঠিত করে রেখেছেন নলকূপ মালিকরা। সেখান থেকে সাধারন পরিবারের কাউকে সহজে পানি আনতে দেয়া হয় না। তাছাড়া, বন বিভাগের ওই অগভীর কুয়োগুলোর পানি শুস্ক মৌসুমে শুকিয়ে যায়। তখন পানির সংকট চরম আকার ধারন করে।

এ বিষয়ে লেঙগুরা ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান ভুঁইয়া বলেন, ওই গ্রামসমূহে নলকূপ স্থাপন করতে হলে পাথর সড়িয়ে প্রায় এক হাজার ফুট গভীর করে পাইপ বসাতে হবে। তাতে একেকটি নলকূপের জন্য খরচ হবে প্রায় অর্ধ কোটি টাকা। সরকারি বরাদ্দে বিশাল অংকের এ টাকা পাওয়া দীর্ঘ সময়ের ব্যাপার। তাই বিকল্প হিসেবে কম খরচে মাটির নিচ থেকে পাথর সরিয়ে যদি গভীর কুয়ো বসানো যায় তাতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠি অধ্যুষিত ওই ৬ টি গ্রামের পানি সমস্যা কিছুটা ঘুছবে।

কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, মাটির নিচে পাথর থাকায় এখানে নলকূপ বসানো খুব কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবে পানি সমস্যা মেটাতে দ্রুত সময়ের মধ্যেই ওই গ্রামগুলোয় রিংওয়েল বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads