• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রাণীনগরে কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

রাণীনগরে কাল বৈশাখী ঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি

  • রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১৮ মে ২০১৯

কাল বৈশাখী ঝড়ে নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের প্রায় ৫ শতাধীক ঘর-বাড়ী, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, আম গাছসহ গাছপালা ভেঙ্গে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে এবং তার ছিরে যাওয়ায় বিদ্যুতহীন হয়ে পরেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা।

জানা গেছে, গতক‍াল শুক্রবার বিকেল অনুমানিক ৫ টার দিকে হঠাৎ করেই পশ্চিম উত্তর কোনে কালো মেঘ দেখা দেয়। এর কিছু পরই হালকা বাতাস থেকে গতি বেরে কাল বৈশাখী ঝড়ে রুপ নেয়। ঝড়ের তান্ডব চলতে থাকে প্রায় ১০-১৫ মিনিট ধরে। এতে রাণীনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের ও পূর্বাঞ্চলের করজগ্রাম, খাঁনপুুর, ভেবরা, কালীগ্রাম, আবাদপুকুর, সিলমাদার, ডাকাহার, দামুয়া, কয়াপাড়া, জেঠাইল, পাকুরিয়া, একডালা, জলকৈসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৫ শতাধীক বাড়ী-ঘর, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। আকষ্মিক এই ঝড়ে অধিকাংশ ঘর-বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাল উড়ে গেছে। ঝড়ের তান্ডবে শত শত গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। এতে কয়েকটি রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস ও পথচারী এবং স্থানীয় লোকজন গাছ কেটে রাস্তা চলাচলের উপযোগী করে। এছাড়া আবাদপুকুর কলেজ, ডাকাহার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মধুপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের টিনের চালা উড়ে গেছে। এ সময় বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ও তার ছিরে পরে যায়। এই ঝড়ে গাছের আমসহ চলতি মৌসুমের অধিকাংশ ফল ঝরে পরে যায়।

রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আসাদুজ্জামান জানান, ঝড়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭টি খুঁটি ভেঙ্গে গেছে এবং পনেরটি খুঁটি হেলে পরে গেছে। এছাড়া প্রায় ৬২টি স্থানে তার ছিড়ে গেছে। যার ফলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুতহীন হয়ে পরেছে। ইতি মধ্যে শনিবার কিছু কিছু এলাকায় মেইন লাইন চালু করতে পারলেও বিদ্যুৎ পরিস্থিতি পুরোটা স্বাভাবিক হতে আরো দু’একদিন সময় লাগতে পারে।

রাণীনগর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, প্রাথমিক ভাবে ৪ শ ৫৮টি বাড়ী-ঘর ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এমনটি তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তবে তালিকা তৈরি শেষ হলে ক্ষতির সঠিক পরিমান পাওয়া যাবে।

রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল মামুন বলেন, ঝড়ের তান্ডবে উপজেলার বেশ কিছু গ্রামে লন্ড ভন্ড হয়ে গেছে। এতে ঘর-বাড়ী, ব্যবসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গাছ পালা ও ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইতি মধ্যেই বাড়ী-ঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্থের তালিকা তৈরি শুরু হয়েছে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে তালিকা না করে এখনই বলা যাচ্ছে না।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads