• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
রূপপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রত্যাহার

ছবি : সংগৃহীত

সারা দেশ

বালিশ কাণ্ড

রূপপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী প্রত্যাহার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৩ মে ২০১৯

পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আওতাধীন গ্রিন সিটি প্রকল্পের আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে ওঠানোয় আলোচিত ‘বালিশ কাণ্ডে’ অনিয়মের ঘটনায় নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদুল আলমকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এ বিষয় তদন্তে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় গত রোববার দুটি কমিটি গঠন করেছে বলেও জানা গেছে।

ওইদিন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের একজন অতিরিক্ত সচিব এবং গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর নেতৃত্বে পৃথক এ কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সব ধরনের বিল বন্ধ রাখার জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি দেশের অন্যতম মেগা প্রকল্প রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বসবাসের জন্য নির্মিত গ্রিন সিটিতে আসবাবপত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র ক্রয়ে লাগামছাড়া দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হয়েছে। একটি বালিশের দাম ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৯৫৭ টাকা আর সেই বালিশ নিচ থেকে ফ্ল্যাটে ওঠাতে খরচ ৭৬০ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। শুধু আসবাবপত্র কেনা ও ফ্ল্যাটে ওঠাতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৯২ হাজার ২৯২ টাকা।

এছাড়া এরই মধ্যে এ প্রকল্পের সব পদেই অস্বাভাবিক বেতন-ভাতা ধরার তথ্যও গণমাধমে এসেছে।

এ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকের বেতন ধরা হয়েছে চার লাখ ৯৬ হাজার টাকা। পাশাপাশি প্রকল্পের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করবেন, এজন্য আরো দুই লাখ টাকা পাবেন। সব মিলিয়ে প্রকল্প পরিচালক পাবেন ছয় লাখ ৯৬ হাজার টাকা। এ ছাড়া গাড়ি চালকের বেতন ধরা হয়েছে ৭৩ হাজার ৭০৮ টাকা, রাঁধুনি আর মালির বেতন ৬৩ হাজার ৭০৮ টাকা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads