• মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪২৮
নুসরাতের কবরের পাশে ব্যারিষ্টার সুমন

নুসরাত জাহান রাফির কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন ব্যারিষ্টার সুমন

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

নুসরাতের কবরের পাশে ব্যারিষ্টার সুমন

  • ফেনী প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৮ জুন ২০১৯

আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফির কবর জিয়ারত করতে আসেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিষ্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।

আজ শনিবার বিকালে সোনাগাজী পৌরশহরে চরচান্দিয়ায় কবর জিয়ারত ও আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন। কবরের পাশে দাঁডিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করেন। লাইভে তিনি ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জডিতদের বিচার দাবী করেন।

এর আগে ব্যারিষ্টার সায়েদুল হক সুমন তার বাড়ীতে গিয়ে শোকার্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

ফেসবুক লাইভে ব্যারিষ্টার সুমন বলেন, ‘অনেকেই নুসরাতের নাম ভুলে গেছেন হয়তো। যাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই নুসরাতের কবরের সামনে দাঁড়িয়ে কিছু বলার ভাষা আমার নাই। নুসরাতের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তার কবর জিয়ারত করতে আসছি সে সিলেট থেকে।’

তিনি বলেন, ‘এ জায়গাতে নুসরাত ঘুমিয়ে আছে। নুসরাত রাফির কবরে লাগানো গাছগুলো অনেক বড় হয়ে গেছে। নুসরাত যে মাটিতে ঘুমিয়ে আছে এমন হাজারো নুসরাত হয়তো বাংলাদেশের মাটিতে ঘুমিয়ে আছে। অনেকে বিচার পাচ্ছেন হয়তো অনেকে বিচার পাচ্ছেন না।’
আমি সারা বাংলাদেশের মানুষের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, ‘যারা ভেবে ছিলেন নুসরাতের নিউজটা মাটি চাপা পড়ে গেছে তা মনে করার কোন কারণ নাই। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত যতজন আসামী আছে সবাই জেলে আছেন। শুধুমাত্র সোনাগাজী মডেল থানার সাবেক ওসি মেয়াজ্জেম হোসেন ছাড়া।’

সুমন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজে মামলার তদারকি করছেন। উনি খুব শিঘ্রী আইনের আওতায় চলে আসবেন। বিচারের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত নুসরাতকে আমরা ভুলবোনা।

তিনি আরো বলেন, ‘নুসরাতের কবরের সামনে এসে বলে যাচ্ছি, যত বাধা আসুকনা কেন নুসরাতের যারা আসামী তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে আমাদের প্রথম এবং প্রধান কাজ।

ব্যারিষ্টার সুমন বলেন, ‘যে মেয়েটা হাতে মেহেদী দিয়ে মা-বাবা ও ভাইদের সাথে ঈদ করার কথা ছিলো সে মেয়েটা আজকে কবরে শুয়ে আছে। আমি আজকে এখানে এসেছি নুসরাতের কাছে ক্ষমা চাইতে। আমরা নুসরাতকে পরিপূর্ণ নিরাপত্তা দিতে পারি নাই এটা আমাদের ব্যর্থতা। নুসরাতের মতো মানুষরা যদি আমাদের মাপ না করেন তবে এ বাংলাদেশ আগাবে না।’

এসময় নুসরাত রাফির বাবা একেএম মুসা, বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান, ছোট ভাই রাশেদুল হাসান রায়হান ও এলাকার গণমান্য ব্যক্তিগত বিপুল পরিমান মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads