• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ

কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে চলে ২য় দিনের উচ্ছেদ অভিজান এসময় ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

২য় দিনের উচ্ছেদ অভিজান

কেরানীগঞ্জে বুড়িগঙ্গার তীরে ১৫১টি স্থাপনা উচ্ছেদ

  • কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৩ জুলাই ২০১৯

বুড়িগঙ্গা নদীর দুই তীর দখলমুক্ত করতে চতুর্থ দফায় উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছে বিআইডব্লিউটিএ। 

বুধবার সকাল ১০টায় চতুর্থ দফার দ্বিতীয়দিন কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ইউনিয়নের মান্দাইল গকুলচর থেকে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে বাবুবাজার ব্রীজ(কেরানীগঞ্জ দক্ষিন পাশে) পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।

এসময় ছোট বড় ১৫১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও ১.৫ একর জায়গা দখলদারদের হাত থেকে অবমুক্ত করা হয়। বিআইডব্লিউটিএ’র নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন, বিআ্ইডব্লিউটিএর সদস্য ও উচ্ছেদ অভিযানের প্লানিং অফ অপারেশন মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এসময়আরো উপস্থিত ছিলেন উপ-পরিচালক মিজানুর রহমান, সহকারি পরিচালক নূর হোসেন।

অভিযান চলাকালে জিনজিরাএলাকার (ভুক্তভোগি) মোঃমনির হোসেন সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করেন, বিআডব্লিউটিএর কাছে অনুরোধ করলেও আমাদের মালামাল সরানোর সময়টুক দেননি তারা সব মিশিয়ে দিয়েছে।

জিনজিরা বাজার থেকে আগানগর বাবুবাজার ব্রীজ পর্যন্ত প্রায় অর্ধশত ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাকসায়ীরা জানান, তারা নদীর সীমানার বাইরেই তাদের দোকানপাট ছিল। কিন্তু বিনা নোটিশেই বিআইডব্লিউটিএ তাদের দোকানপাটসহ অন্যান্য স্থাপনা ভাংচুর করে ফেলে । এতে তারা লক্ষলক্ষ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিআইডব্লিউটিএ এর যুগ্ন পরিচালক একেএম আরিফ উদ্দিন জানান, নদীর তীরে সীমানা পিলারের ভিতরে যেসব স্থাপনা আছে আমরা শুধু ওইসব অবৈধ স্থাপনাই উচ্ছেদ করছি। সীমানা পিলারের বাইরে কোন স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলা আমাদের ক্ষমতা নেই। উচ্ছেদ অভিযানে ব্যাপক সংখ্যক আইন শৃংখলা বাহিনী মোতায়েন থাকায় উৎসক জনতা ও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাকসায়ী ও মালিকগন ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকলেও তারা কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায়নি। তিনি আরো বলেন,চতুর্থ দফার উচ্ছেদ অভিযানের দ্বিতীয় দিনে ১৫১ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।যার মধ্যে রয়েছে তিন তলা ০৩ টি, দোতলা ০৮ টি,এক তলা ২৩ টি,আধা পাকা ৬৫ টি,বাউন্ডারি ওয়াল ১৪ টি,টিনের ঘর ৩৮ টি। এসব স্থাপনা উচ্ছেদের মাধ্যমে ১.৫ একর জায়গা অবমুক্ত করা হয়েছে।(১২ কার্যদিবস)এর আজ দ্বিতীয় দিন আমাদের এ অভিযান ২৫ জুলাই পর্যন্ত ফতুল্লার আলীগঞ্জ পর্যন্ত চলবে।তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদকৃত জায়গায় ওয়াকওয়ে, ইকোপার্ক, গাইডওয়াল ও তীর প্রটেকশন নির্মান করা হবে। সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির জন্য বৃক্ষরোপনসহ বসার জায়গা থাকবে।

বিআইডব্লিউটিএ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এখানে কয়েক বছর আগেই নদী রক্ষা সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়। সীমানা পিলার অতিক্রম করে নির্মিত স্থাপনাগুলোই শুধু উচ্ছেদ করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, নদী রক্ষায় মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশ রয়েছে। দখলদার যত ক্ষমতাশালী হোক, সেটা দেখা হবে না। নদীর জায়গা নদীতে ফিরিয়ে দিতে আমরা বদ্ধ পরিকর।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads