• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি স্থান মেরামত

সংগৃহীত ছবি

সারা দেশ

মৌলভীবাজারে বন্যা মোকাবেলায় প্রস্তুতি

বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি স্থান মেরামত

  • কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুলাই ২০১৯

২০১৮ সালের বন্যার তিক্ত অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি না হয় সে জন্য এবার বন্যা মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড।

জেলার কুলাউড়াসহ চার উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের আগাম বন্যা মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। ইতোমধ্যে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি (পূর্বের ভাঙা ও ঝুঁকিপূর্ণ স্থান) স্থান মেরামত করা হয়েছে।

এছাড়া বাঁধের আরো ৩৬টির অধিক ঝুঁকিপূর্ণ স্থান মেরামতের কাজ চলছে। এক সপ্তাহের মধ্যে মেরামতের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

বন্যা থেকে মৌলভীবাজার শহর বাঁচাতে জরুরি ভিত্তিতে আরসিসি ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড।

গত বছরের জুন মাসে মৌলভীবাজারে যে ভয়াবহ বন্যা হয় তাতে শহর ও গ্রামে অনেক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ড বন্যা মোকাবিলায় জেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মনু ও ধলাই নদীর  কুলাউড়া, মৌলভীবাজার সদর, রাজনগর ও কমলগঞ্জ উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ ও ভাঙ্গা স্থানগুলো মেরামতের আগাম প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ চারটি উপজেলার ৪৯টি স্থানে এ কাজ চলছে। মোট ৭ হাজার ২৪৭ মিটার এলাকার মেরামত ও বিকল্প বাঁধের জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ কোটি ৩৯ লাখ ২৩ হাজার টাকা।

গত বছরের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো মৌলভীবাজার শহরের চাঁদনীঘাট এলাকা থেকে মসজিদ পর্যন্ত ১২৭ মিটার এলাকা। সেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নির্মাণ করা হচ্ছে বাঁধ। এজন্য অনুন্নয়ন রাজস্ব বাজেট থেকে ১ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় হচ্ছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রণেন্দ্র শংকর চক্রবর্তী  জানান, নদীর পানি বাড়লে ঝুঁকিপূর্ণ ৩৮টি স্থান ভেঙে যেতে পারে। তাই আপদকালীন বরাদ্দ থেকে এই স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। এছাড়া মনু নদী প্রবাহিত শহরের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চাঁদনীঘাট এলাকাটিতে অনুন্নয়ন রাজস্ব বাজেট থেকে জরুরি ভিত্তিতে আরসিসি ফ্লাড ওয়াল নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি মাসের মধ্যেই এ কাজ শেষ হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads