• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪২৯
ব্রীজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক!

ছবি : বাংলাদেশের খবর

সারা দেশ

ব্রীজ আছে, নেই সংযোগ সড়ক!

  • ফয়সল চৌধুরী, হবিগঞ্জ
  • প্রকাশিত ৩০ আগস্ট ২০১৯

ব্রীজ আছে কিন্তু সংযোগ সড়ক নেই। ১০ বছর আগে ব্রীজটি নির্মাণ হলেও এখনও সংযোগ সড়ক তৈরি করা হয়নি। যেন শুন্যের উপর দা‍ঁড়িয়ে আছে হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার গুজাখাইর-চানপুর সড়কে অবস্থিত এই ব্রীজটি। জনসাধারন চলাচলের আগেই ব্রীজটির বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সংযোগ সড়ক না থাকায় নবীগঞ্জ ও বানিয়াচং উপজেলার ২০টি গ্রামের প্রায় অর্ধলক্ষাধিক মানুষ চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

নবীগঞ্জ এবং বানিয়াচং উপজেলার ২০টি গ্রামের লোকজন বর্ষাকাল ছাড়া এই সেতুর নিচ দিয়েই যাতায়াত করেন। পাশাপাশি হাওর থেকে কৃষকদের ফসলও আনা হয় এই সড়ক দিয়েই। কিন্তু ব্রীজটিতে সংযোগ সড়ক না থাকায় নিচ দিয়ে চলাচলের কারণে দূর্ভোগে পড়তে হয়। আর এই দূর্ভোগ বর্ষাকালে চরম আকার ধারন করে। সংযোগ সড়ক না থাকায় ব্রীজের উপর দিয়ে যাতায়াত করা যায় না তেমনি আবার নিচে পানি থাকায় নিচ দিয়েও চলাচল করা যায় না।

চানপুর গ্রামের আব্দুর রউফ বলেন, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা একাধিকবার এই সেতুর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও আজ পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি। এ ব্যাপারে অনেকের দ্বারস্থ হলেও তেমন সাড়া মেলেনি।
স্থানীয় কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, সেতুর সংযোগ সড়ক না থাকায় বর্ষাকালে ধানসহ মালামাল নিয়ে এখানে এসে গাড়ি থেমে যায়। পরে নৌকায় করে খাল পাড় করে ফের গাড়িতে তুলতে হয়। এতে শারীরিক পরিশ্রমের পাশাপাশি ধানের ও আর্থিক ক্ষতি হয় বলে জানান তিনি।

বানিয়াচং উপজেলার তফিক মিয়া বলেন, নির্বাচনের সময় জনপ্রতিনিধিরা এসে ওয়াদা করেন। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের আর খুঁজে পাওয়া যায় না। হাজারো মানুষের দূর্ভোগে কেউ এগিয়ে আসেন না বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাবেদুল আলম চৌধুরী সাজু বলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার গুজাখাইর, বেগমপুর, উমরপুর ও দুর্গাপুর এবং বানিয়াচং উপজেলার কাগাপাশা, চানপুরসহ প্রায় ২০টি গ্রামের মানুষের চলাচল এই সড়ক দিয়ে। তবে সেতুটি বানিয়াচং না নবীগঞ্জ উপজেলার আওতায় পড়েছে তা নিয়ে দ্বন্দ্ব আছে। এ ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করবো।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads